আইন ও অধিকারনারায়ণগঞ্জফতুল্লা
নির্যাতনের এক পর্যায়ে, পায়ে পিস্তল ধরে বলেছে, তোর কে আছে নিয়ে আয়’?
হাত-পা বেঁধে বন্দুকের বাট দিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ তৈয়ব আলীর বিরুদ্ধে

কারখানার এক শ্রমিকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছিলো যুবকের; ঠুনকো এই কারণে সেই যুবককে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীর বড় ভাই ফারুক বলেন, ‘আমার ছোট ভাইকে নির্যাতনের এক পর্যায়ে, পায়ে পিস্তল ধরে বলেছে, তোর কে আছে নিয়ে আয়’?
শিল্পা অধ্যুষিত ফতুল্লার শিয়াচরের লালখাঁ এলাকায় শনিবার (২৫ জুন) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে অনেক অনুরোধ করে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ভুক্তভোগীর বাবা। বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শে রয়েছেন।
অভিযুক্ত ওই কারখানার মালিকের নাম তৈয়ব আলী। সে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মোস্তফা কামালের বেয়াই।
নির্যাতণের শিকার ওই যুবকের নাম শরিফ হোসেন (১৯)। শিয়াচর লালখাঁ এলাকার বুলু মিয়ার ছেলে ও তক্কারমাঠ এলাকার পিন্টুর মালিকানাধীন হোসিয়ারী কারখানার শ্রমিক।
শরিফের বড় ভাই ফারুক জানান, আমার ছোট ভাইয়ের সাথে চলাফেরা করতেন তৈয়ব আলীর কারখানার সেই শ্রমিকটি। চলাফেরার এক পর্যায়ে তার সাথে বাকবিতন্ডা হয়। আমার ছোট ভাই, সেই ছেলেকে একটি চড় মারে। সেই ছেলে কারখানার মালিক তৈয়ব আলী ও তার ভাইকে বিষয়টি জানায়। ২৫ জুন রাতে রাস্তায় তৈয়ব আলীর সাথে আমার ছোট ভাইয়ের দেখা হলে সালামদেয়। ওই সময় হঠাৎ তাকে তুলে নিয়ে তৈয়ব আলী বাসার নিচ তলায় হাত-পা বেঁধে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে বন্দুকের বাট(কাঠের অংশ) দিয়ে নির্মম ভাবে পিটিয়ে আহত করেছে, ‘পায়ে পিস্তল ধরে বলেছে, তোর কে আছে নিয়ে আয়’। লোক জনের মাধ্যমে আমার মা খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান, এরপর বাবাকে খবর দেওয়া হলে সে অনেক অনুরোধ করে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। এই দৃশ্য এলাকার অনেক লোক দাঁড়িয়ে দেখেছে। শুনেছি, সকালে তৈয়ব আলী বাড়ি ছেড়ে গ্রামের বাড়ি বরিশালে চলে গেছেন।
নির্যাতণের শিকার ছেলেটির বড় ভাই আরও বলেন, ছোট একটা কারণে এমন নির্যাতন। থানায় অভিযোগ করা যেতো, কিন্তু আমরা ভাড়াটিয়া আর সে শিল্পপ্রতি ও প্রভাবশালী। তার সাথে কোন ভাবেই পারবো না। তাই থানায় যাওয়া হয়নি। আল্লাহর উপর বিচার ছেড়ে দিয়েছি।
মুঠোফোনে অভিযোগ সর্ম্পকে জানতে চাইলে তৈয়ব আলী বলেন, আমি এই ঘটনার কিছুই জানি না। আমি আজকে গ্রামের বাড়ি বরিশালে এসেছি, সেখান থেকে (ফতুল্লা) ফোনে মানুষ জানিয়েছে, এই ঘটনা। পুরো ঘটনাটাই মিথ্যা, ষড়যন্ত্র।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, থানায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। সে যেই হউক না কেনো, যতো প্রভাবশালী হউক না কেনো, কোন প্রকার ছাড় পাবে না।