আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আজিমপুর কলোনি মাঠে লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবাজার দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি অগ্নিকান্ড নিয়ে রাজনীতির অপচেষ্টা করছে। বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু হলেও বিএনপি বলবে আওয়ামী লীগের দোষ। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ড ঘটিয়েছে কি-না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতা করছে বিএনপি। তারা অতীতেও মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, আজও পাশে না দাঁড়িয়ে কষ্ট দিচ্ছে। রাস্তা অবরোধ করে রোজার দিনে কিসের কর্মসূচি। রাস্তা বন্ধ করে রোজাদারদের বিএনপি কষ্ট দিলে, আওয়ামী লীগও শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির হাঁড় ভেঙে গেছে, এই হাঁড় আর জোড়া লাগবে না। তাদের আন্দোলন গোলাপবাগে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। বিএনপির পদযাত্রা মানেই পতনযাত্রা। হাঁটু ভাঙ্গা দল আর দাঁড়াবে না।
তিনি বলেন, আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এই সংকটের মধ্যেও দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনা কথা দিয়ে কথা রাখেন। আগামী নির্বাচনেও মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিবেন।
বিএনপির সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনাদের সেই নিরপেক্ষ ব্যক্তি কে? তত্ত্বাবধায়কের নামে ২০০১ সালের মতো, ২০০৬ সালের মতো অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারা চায়। সেই তত্ত্বাবধায়ক বাংলার মানুষ চায় না।
লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান জামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ মানুষ হুমায়ুন কবির প্রমুখ। পরে সুবিধাভোগীদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।