অপরাধজাতীয়নারায়ণগঞ্জফতুল্লারাজনীতি

জাকির খানের মুক্তির দাবিতে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’; ২৮৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৩৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ‘অভিযুক্তরা জাকির খানের মুক্তির দাবিতে লাঠিসোঁটা, রড, ককটেল, ইটপাটকেল নিয়ে সড়কে টায়ারে আগুন দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময়ে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়িতে ইট দিয়ে আঘাত করে।’

ফতুল্লা মডেল থানার এস আই শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে সোমবার (২১ নভেম্বর) দিনগত রাতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় আসামী করা হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম টিটু, ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির খান, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক, সদর থানা ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক লিংরাজ খান, সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আতা ই রাব্বি, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দোলনসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০ জন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা ২০ নভেম্বর দুপুর ২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতপাড়ার সামনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের হাজিরার সময়ে তার মুক্তির দাবিতে জড়ো হয়। সেখানে তারা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা, যানবাহন ও রাষ্ট্রায়াত্ত্ব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা, রড, ককটেল, ইটপাটকেল নিয়ে সড়কে টায়ারে আগুন দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময়ে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়িতে ইট দিয়ে আঘাত করে।

মামলায় আলামত হিসেবে চারটি ককটেল বিষ্ফোরিত উদ্ধার, ২০ বাঁশের লাঠি, ১০ লোহার রড, টায়ার, ১০ টুকরা ভাঙ্গা গ্লাস উদ্ধার করা হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, ২০ নভেম্বর সাজাপ্রাপ্ত আসামী জাকির খানের হাজিরা ছিল। হাজিরা শেষে জাকিরখানকে কারাগারে নেওয়ার পর তাঁর মুক্তির দাবিতে বিশৃঙ্খলা করে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়। কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close