নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জ সদরফতুল্লালেখা-পড়া
ফতুল্লার ভূইগড় স্কুল মাঠে পানি, শ্রেণি কক্ষে হয় দৈনিক সমাবেশ
স্কুল মাঠে দৈনিক সমাবেশ করা বাধ্যতা মূলক। অথচ, শ্রেণি কক্ষে চলছিল শপথ পাঠ। একই ভাবে জাতীয় সঙ্গিত গাইছিলেন শিশুরা।
কারণ জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জোছনা রাণী সাহা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের মাঠে পানি, তাই বাধ্য হয়েই সমাবেশ আলাদা আলাদা শ্রেণি কক্ষে করানো হচ্ছে’।
গত ৫ বছর ধরে এই চিত্র নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ভূইগড় জনকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এতে স্কুলটির প্রায় সাড়ে ৫‘শ শিশুর শিক্ষা জীবন অনেকটা কাটছে শ্রেণি কক্ষের মধ্যেই।
স্বাধীনতার ২ বছর পূর্বে ১৯৬৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। তাদের মতে, স্বাধীনতার পর থেকে এলাকাটির শিশু কিশোরদের শিক্ষার মান উন্নয়নে বেশ ভূমিকা রেখেছে। এখানে পড়ালেখা করে অনেকেই এখন চিকিৎসক, আইনজীবী বা জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। এখন সেই বিদ্যালয়টি অস্থিত সংকটে।
এ বছর তেমন বৃষ্টি হয়নি। তারপরেও ৬ আগস্ট সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমে আছে। শহীদদের স্মরণে নির্মিত মিনারটিও পানির মাঝে। মাছের প্রবেশ মুখে বালি দিয়ে কিছু দিন পূর্বে বরাট করা হয়েছে। সেখান দিয়েই চলাচল করছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া স্কুলের একটি ভবনের নিচ তলার কয়েকটি শ্রেণি কক্ষও পানির নিচে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি এড. আল-আমিন সাউদ জানান, মাঠ উঁচু করণ ও পানি নিস্কাশনের উন্নয়নের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার-চেয়ারম্যানদের কাছে গিয়েছি, তারা আশ্বস্ত করেছেন। আজকেও মাঠের পানি নিস্কাসন নিয়ে একটি সভা হয়েছে, সেখানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ আশ্বস্ত করে বলেছেন সরকার থেকে না নিতে পারলেও ব্যক্তি উদ্যোগে আগামী শনিবারের মধ্যে মাঠের বালু ভড়াটের কাজ ধরবেন। আশা করি এবার হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন আহমেদ জানান, আমি কথা দিয়েছি, আগামী শনিবার মাঠের কাজ ধরবো। এতে সরকার থেকে টাকা না পেলেও কাজ কবে। আমার এই কাজে যদি কেউ সহযোগীতা করতে এগিয়ে আসে, আমি তাকেও গ্রহণ করবো। না আসলে একাই করবো। মাঠ উচুঁ করে খেলার উপযোগী করবো ইনশাআল্লাহ।
পাশাপাশি বিদ্যালয়ের জন্য নতুন একটি ভবন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ভাইয়ের কাছে দাবি করবো।