জাতীয়সারাদেশ

‘প্রাইস ট্যাগ’ মুছে বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রির হিড়িক

বিভিন্ন বাজারে ভোজ্যতেলের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন সাধারণ ক্রেতারা। তবে তেল পাওয়া গেলেও তেলের বোতলে থাকা কোম্পানির ‘প্রাইস ট্যাগ’ ঘষে মুছে ফেলা হয়েছে।

খুচরা দোকানীরা বলেন,‘ ঈদের আগে বেশি দামে তেল কিনতে হয়েছে। তাই কিছুটা লাভ ধরে বিক্রি করছি। আর কেনার সময়ই প্রাইস ট্যাগ মুছে দেয়া অবস্থায় পেয়েছি আমরা।’
‘বাজারে ভোজ্যতেল নেই। ক্রেতা ধরে রাখতেই বেশি দামে তেল এনে বিক্রি করছি। এক্ষেত্রে আমাদের কোনো দায় নেই।’

তবে অন্য দোকানিরা অভিযোগ করেন, কোনো কোনো দোকানে আগের দামে কেনা তেল মজুত করে রেখে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে মিল মালিকদের বৈঠকের পর সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম নির্ধারণ করে সরকার। সে অনুযায়ী ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ ও খোলা প্রতি লিটার ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে। আর পাম অয়েল বিক্রি হবে ১৭২ টাকা লিটার।

এর আগে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিনের দর ছিল ১৬০ টাকা। আর খোলা তেল ছিল ১৩৬ টাকা লিটার। অর্থাৎ আগের চেয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলে লিটারপ্রতি ৩৮ টাকা ও খোলা তেলে ৪৪ টাকা বেড়েছে।

পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮৫ টাকা, যা আগে ছিল ৭৬০ টাকা।

সরকার নতুন করে দর বেঁধে দেয়ার পর কারসাজিতে জড়িয়েছে অনেক বিক্রেতা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভোজ্য তেলের বর্ধিত দাম ঘোষণার পর কোনো কোনো ব্যবসায়ী তাদের কাছে থাকা তেলের পুরোটাই মজুত করে ফেলে। পরে গোপনে বের করে বেশি দামে বিক্রি করছে তারা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, পলাশী, মিরপুরসহ বিভিন্ন বাজারে গোপনে তেল বিক্রি হচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় তা কম।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সুমন মিয়া জানান, তেলের সরবরাহ কম। তবে একেবারে নেই তা বলা যাবে না। যে যতটুকু তেল পেয়েছে তা মজুত করেছে।

আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল তেলের দাম বাড়বে। তাই তেল ধরে রেখে বাজারে সংকট সৃষ্টি করা হয়। নতুন দামের তেল সোমবার থেকে আসতে শুরু করবে। এর মধ্যে পুরনো তেল বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। যেহেতু চাহিদা বেশি তাই বাড়তি দামেই মানুষ কিনছে।

‘আজ ডিও (চাহিদাপত্র) কাটার পর সোমবার বাজারে ঢুকতে পারে তেলের চালান। দুই/তিনদিনের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হবে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যেই আগে সরবরাহ পাওয়া তেল বিক্রি হয়ে যাবে। কারো কাছে থেকে গেলেও নতুন দামের তেল আসার পর বেশি দামে বিক্রির সুযোগ আছে।’

তবে আগে সরবরাহ পাওয়া তেল বোতলের প্রাইস ট্যাগ মুছে বিক্রির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close