নারায়ণগঞ্জরাজনীতি
জেল জুলুম দিয়ে জনতার আন্দোলন দমনের পথ পরিহার করুন: সিপিবি নারায়ণগঞ্জ জেলা

সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষসহ গাইবান্ধা জেলার ৮ নেতার নিঃশর্ত মুক্তি ও গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে সমাবেশ ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) জেলা কমিটির উদ্যোগে ১২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বিকেল সাড়ে ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সিপিবি’র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলির সদস্য আঃ হাই শরীফ, বিমল কান্তি দাস, আব্দুস সালাম বাবুল, জেলা কমিটির সদস্য দুলাল সাহা, ইকবাল হোসেন, মনিরুজ্জামান চন্দন ও প্যারাডাইজ কেবল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ রাসেল প্রমূখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, কমরেড মিহির ঘোষ গাইবান্ধার গণমানুষের নেতা। গাইবান্ধার মানুষের সুখ দুঃখে মিহির ঘোষ সব সময় পাশে থেকেছেন। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধায় সরকার দলীয় সাংসদসহ ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা প্রশাসনের যোগসাজশে বিরোধী মত দমন করার জন্য সিপিবি নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে সেই মামলায় সিপিবির ৮ নেতাকে কারাগারে বন্দি করেছে। আওয়ামীলীগ সরকার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় এসেছে। এখন জনতার আন্দোলন দমনে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে সিপিবি’র নেতাদের জেলখানায় পাঠিয়েছ। মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সিপিবি’র নেতাকর্মীদের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। নেতৃবৃন্দ সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন জেল জুলুম দিয়ে জনতার আন্দোলন দমনের পথ পরিহার করুন অন্যথায় পরিণতি ভালো হবে না।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, যারা বাংলাদেশে নির্বাচনী ব্যবস্থার কবর রচনা ও ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন তারাই প্রকৃত দেশদ্রোহী। সিপিবি’র নেতারা মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন তারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সংবিধান পরিপন্থী। গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে গণমানুষের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতীর কারণে জনগণ দিশেহারা। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। অবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে দেশব্যাপী বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তুলে কমরেড মিহির ঘোষসহ অন্যান্য নেতাদের মুক্তি ও গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের জন্য সরকারকে বাধ্য করা হবে।