জাতীয়মতামতলেখা-পড়াসাহিত্যসিলেট বিভাগ
জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে প্রতিটি ঘরেই হোক ডিজিটাল গ্রন্থাগার : শেখ আরিফ
‘সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকার, ডিজিটাল গ্রন্থাগার’ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখেই দেশব্যাপী নানান কর্মসূচির আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।
জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের কাছে গ্রন্থাগারকে জনপ্রিয় করা এবং গ্রন্থ ও গ্রন্থাগারের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ই ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ঘোষণা করেন। এর আগে ১৯৫৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির দ্বার উন্মোচন করা হয়। তাই এ দিনটিকেই জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। ২০১৮ সাল থেকে প্রতি বছর জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে সারাদেশে গ্রন্থাগার দিবস পালিত হয়ে আসছে। গত ৪ জানুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে জাতীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, প্রযুক্তির নতুন ধারার সাথে তাল মিলিয়ে সরকার গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত সুযোগ- সুবিধা বুদ্ধি করেছে। তিনি আরো বলেন, একটি জ্ঞানমনস্ক, সুন্দর ও আলোকিত সমাজ গঠনে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অপরিসীম। মানব সভ্যতার সূচনা ও বিকাশ এবং ধারাবাহিকতার অমূল্য তথ্যাবলি পুস্তকে গ্রন্থিত থাকে। গ্রন্থাগার সেই সংখ্যাতীত পুস্তকের বিপুল সমাহারকে ধারণ করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে দেয়া অপর এক বাণীতে বলেন, এ সরকার গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি গ্রন্থাগারগুলিকে ডিজিটালাইজেশনের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির অভাবিত উন্নয়ন-স্রোতে পরিবর্তনের নতুন ধারার বাস্তবায়নে উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমান সরকার গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করছে, পাশাপাশি গ্রন্থাগারগুলিকে ডিজিটালাইজেশনের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
লেখক:
কে এস এম আরিফুল ইসলাম
প্রগতিশীল কলামিস্ট
শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার