ফতুল্লারাজনীতি

পুলিশের গুলিতে আহত ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিট’র সুস্থতা কামনায় দোয়া

পুলিশের গুলিতে আহত ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিট’র সুস্থতা কামনায় ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যেগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে পাচাটর দিকে ফতুল্লা থানার ভুইগড় কাজী বাড়ী এলাকায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলহ্বাজ মোঃ আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডঃ আব্দুল বারী ভূইয়া। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা বিএনপির আলহ্বাজ সুলতান মাহমুদ মোল্লা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ- সভাপতি নাজির প্রধান,সহ- সভাপতি হাজী মোঃ শহিদুল্লাহ, সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন,শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বাবুল আহম্মেদ।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক  রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, আজকে আমরা এমন একটি ইউনিয়নে দাড়িয়ে কথা বলছি, যে কুতুবপুর ইউনিয়নের সন্তানেরা এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে হামলা- মামলা উপেক্ষা করে রাজপথে আন্দোলন করে যাচ্ছে।

শহিদুল ইসলাম টিটু বিএনপির তৃনমূল পর্যায় থেকে রাজনীতি করে আজকের পর্যায়ে উঠে এসেছেন। তিনি উড়ে এসে আজ নেতা হয়নি। টিটু সেদিন পুলিশের গুলিতে মারা গেলে আজকের সভাটি অন্যরকম হতো।

শহিদুল ইসলাম টিটুর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে থানা বিএনপির শির্ষ নেতাদের অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে সমালোচনা করে তিনি বলেন,আজকের দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে না আসার জন্য বিএনপির কতিপয় নেতারা চেস্টা করেছেন এবং অনেককেই এখানে না আসার জন্য উৎসাহিত করেছেন।

তিনি আরো বলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কুতুবপুরের সন্তান মনিরুল আলম সেন্টু ও নিহত মমিনউল্লাহ ডেবিড বিএনপির এই দুঃসময়ে  আজ খুব দরকার ছিলো। মনিরুল আলম সেন্টু কে যে অপরাধে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এর চাইতে ও অধিক অপরাধ করে এখনো অনেকেই দিব্বি  বিএনপির রাজনীতি করছে।

শেখ হাসিনা সরকার কে বিতাড়িত করতে হলে মাইকে ঘরোয়া ভাবে ঘোষনা করে বা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে, ডায়লগ মেরে তাড়ানো যাবেনা। বর্তমান সরকার দূর্বল হয়ে এসেছে সত্যি তাই বলে তাকে সহজেই বিতাড়িত করা যাবেনা।

এ সরকার কে হটাতে হলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাজপথে লড়তে হবে। কে এমপি হবেন,কে মন্ত্রী হবেন তা পরে চিন্তা করুন এখনই ভেদাভেদ করবেন না। তাহলে মনে করবো যারা ভেদাভেদ করতে চাইছেন তারা ভুল করছেন।

আগে হাসিনা সরকার হটান পরো মন্ত্রী, এমপি হওয়ার চিন্তা করবেন। তিনি শহিদুল ইসলাম টিটুর গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আগামীতে প্রতিবাদ সভার আহবান করেন।

দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এডঃ বারী ভূইয়া বলেন, আওয়ামী পুলিশের ছোড়া গুলিতে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু আজ প্রায় অন্ধ হওয়ার পথে।

একটি চোখে তিনি কিছুই দেখতে পাননা।আরেকটি চোখে অল্প অল্প দেখতে পাচ্ছেন না। তাকে গুলি করে আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্ত আমরা ভয় পেয়ে দমিয়ে যায়নি। এ সরকারের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তারা এখন পালাবার পথ খুঁজছে।

শেষ সময় এসে গেছে বুজতে পেরে সরকার হুমকি ধুমকি দিচ্ছে। তিনি অনুপস্থিত নেতাদের সমালোচনা করে বলেন যারা আজ আসেন নি তারা মোটেও ভাল কাজ করেনি। আগামীতে সকল কে উপস্থিত থাকার জন্য আহবান জানান। আওয়ামীলীগ  সরকার যতো কিছুই করুক আর টিকে থাকতে পারবে না।

আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভোটার অধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করছি। আগামীতেও যতো আন্দোলন আছে বা হবে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাজপথে থাকবো। বিএনপির নেতা কর্মীরা জাগ্রত হচ্ছে। টিটু কে হত্যা করার জন্য সেদিন গুলি ছুড়েছিলো।

সেদিন চিটাগং রোডে পুলিশের ওপর কোন আক্রমন হয় নাই। পুলিশ সেদিন বিনা উস্কানিতে গুলি করেছিলো। বিএনপির কর্মী,নেতা, ভোটার সমমর্থনকারী সকলকেই রাস্তায় নামতে হবে। তাহলে পুলিশ আর গুলি চালাতে পারবেনা। আর তখনই হাসিনা সরকারের পতন হবে।

বর্তমানে আমাদের  ঐক্য দরকার ছিলো।  আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছি।ইনশ্ আল্লাহ আগামীতে বিএনপিতে ক্ষমতায় আসবে এবং তারেক রহমান বীরের বেশে এ দেশে ফিরে আসবে। বিএনপির বিজয় সু-নিশ্চিত।

সভাপতির বক্তব্যে সুলতান মাহমুদ মোল্লা বলেন, সরকার কে দূর্বল ভাবার কোন কারন নেই। ধাক্কা দিলেই তাদের পতন হবেনা। তাদের পতন ঘটাতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। তাই সকল কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।

দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য নাসিম আবেদীন, বিএনপি নেতা হাজী তৈয়ব হোসেন, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী জহির, কামাল হোসেন, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন, ছাত্রদল নেতা পিয়াস খন্দকার,থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম লিটন,মিজানুর রহমান মিজান,হারুনুর রশীদ হারুন,আরিফ প্রধান,হজরত আলী,নাঈম,আহম্মদ সহ ফতুল্লা থানা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও  ওয়ার্ডের বিএনপি এবং অঙ্গ- সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close