আইন ও অধিকারজাতীয়নারায়ণগঞ্জফতুল্লা
ফতুল্লায় স্কুল ছাত্র ইমন হত্যা, ৪ জনের ফাঁসি, ২ নারীর যাবজ্জীবন রায়
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্কুলছাত্র মো. ইমন হোসেন (১৩) হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দুই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
এ মামলায় চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ফতুল্লার কানাইনগর এলাকার আবদুস সামাদের ছেলে সিরাজ (৪৫), আহম্মদ আলী (৫৫), আমান উল্লাহর ছেলে নাহিদ (২১) ও আহম্মদ আলীর ছেলে সেন্টু মিয়া (২৫)।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত দুই নারী হলেন, সিরাজুল ইসলাম সিরাজের স্ত্রী সালমা (৪২) ও আহমেদের স্ত্রী হোসনে আরা (৪৭)। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, মন্টু মিয়া (২২), আমান উল্লাহর স্ত্রী আয়েশা (৪০), সিরাজুল ইসলাম সিরাজের ছেলে মামুন (২৪) ও খোরশেদ।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জাসমিন আহমেদ বলেন, ফতুল্লার কানাইনগর এলাকায় মসজিদের ইমামের বেতন দেওয়াকে কেন্দ্র করে ২০১১ সালে ইমনের বড় ভাই ইকবালের সঙ্গে চাচা আহম্মদ আলীর ঝগড়া হয়। ইকবালের লাঠির আঘাতে আহম্মদ আলীর মাথা ফেটে যায়। এরপর থেকেই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে ছিল।
ওই ঘটনার পরে ইকবালকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিলে তাকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দেয় পরিবার। প্রায় দুই বছর পর ইকবালের পরিবারের ওপর প্রতিশোধ নিতে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আহম্মদ আলী। সে অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ১৩ জুন ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ নয় টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়।
পরে ২২ জুন বাড়ির অদূরের একটি ক্ষেত থেকে টুকরা করা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইমন ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলীর কানাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চর রাধানগর এলাকার ইসমাইল হোসেন ওরফে রমজান মিয়ার ছেলে।