নারায়ণগঞ্জরাজনীতিলেখা-পড়া

‘স্বাধীনতা অর্জনে নারায়ণগঞ্জবাসী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

স্বাধীনতা অর্জনে নারায়ণগঞ্জবাসী বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনের সিনামুন রেস্টুরেন্টে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহর আলী চৌধুরী ও বীরমুুক্তিযোদ্ধা হাফিজুদ্দিন আহম্মেদের লেখা বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

আলীরটেক ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজ সেবক আমান উল্লাহ মেম্বারের সভাপতিত্বে ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রেসবাংলা’র সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ইমরানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই।

এ সময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল হাই সকলের সামনে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার পরবর্তী বিভিন্ন ইতিহাস উপস্থিত তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পূর্ন রূপে তুলে ধরার জন্য বইটির তৃতীয় সংস্কারণ করার জন্য লেখকদের প্রতি আহবান জানান এবং সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম বলেন, বর্তমান প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের চর্চা না থাকলে একটা সময় প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস থেকে অনেক দুর চলে যাবে। মুক্তিযোদ্ধারা যদি তাদের স্মৃতি বিভিন্নভাবে প্রকাশ করে তাহলেই প্রজন্ম সেগুলা ধারন করতে পারবে।

বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম জীবন বলেছেন, দুইজন মুক্তিযোদ্ধা যারা এই বইটি লিখেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। সেই সাথে আমি বক্তাবলীর সন্তান হিসাবে গর্ববোধ করি। যে দীর্ঘদিন পরে হলেও আমাদের এলাকায় যে বর্বর অত্যাচার হয়েছিলো, নিহতদের নাম বইটির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাই লেখকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষনার বিষয় রয়েছে। নারায়ণগঞ্জে কি কোন বুদ্ধিজিবী হত্যা কান্ড ঘটেনি? যেহেতু নারায়ণগঞ্জ ঢাকার পাশে হত্যা কান্ড হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা তাদের সম্পর্কে অনেকেই জানিনা।

নারায়ণগঞ্জের তৎকালীন মর্গান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সীতানাথ চক্রবর্তী ও আরেকজন শিক্ষক ক্ষেত্রমোহন রায় তাদেরকে আলম খান লেনে চেয়ারে বসে হত্যা করা হয়েছিল । যিনি হত্যা করেছিলেন মিলন খান তার কোন বিচারও হয়নি এবং তিনি খুব গর্ব করে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছিলেন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ভূইয়া জুলহাস, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম জীবন, সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন।

এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক জয়নাল আবেদীন, সদর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুক, বক্তাবলী ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার ওমর ফারুক, স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি আলীরটেক ইউনিয়নের আহবায়ক মো. মোক্তার হোসেন মেম্বার, মো. শাহীন রাজু মেম্বার, রওশন আলী মেম্বার, সাইদুর রহমান, নজরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম বিপ্লব সহ আরও অনেকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close