

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ধ্বংস, ভোটের অধিকার এবং লেখার ও কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ র্যালি জনগণের নতুন করে জেগে ওঠবার র্যালি, এ র্যালি বাংলাদেশের মানুষের নতুন করে সংগ্রাম শুরু করবার র্যালি, এ র্যালি হচ্ছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবার র্যালি।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সবার আগে স্মরণ করতে চাই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে, যাঁর ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশকে গণতন্ত্রে ফিরিয়ে দেওয়া, বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা আজ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যিনি দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন, তাও আজ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’
এবারের বিজয় দিবসের শোভাযাত্রার সব ব্যানার ও মিছিলে ছিল খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি। মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই—স্লোগানে প্রকম্পিত ছিল শোভাযাত্রা।
বিএনপির এ কর্মসূচির কারণে পল্টন, কাকরাইল, ফকিরাপুল, শান্তিনগরসহ আশপাশের এলাকায় যানজট তৈরি হয়।

নেতা-কর্মীদের সুশৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর সুচিকিৎসা, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা, ৩৬ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করিয়ে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে র্যালির শুভ সূচনার আহ্বান জানান।