সিলেট বিভাগ
শমশেরনগর ডাকঘরে পরিবার সঞ্চয়পত্র বন্ধ; ভোগান্তিতে সেবা প্রত্যাশীরা
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর এলাকাটি জনগুরুত্বপূর্ণ হিসাবে পরিচিত। এখানে সুদীর্ঘকাল থেকে পোস্ট অফিস বা ডাকঘরের মাধ্যমে গ্রাহকদের নানাভাবে সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকাটিতে শমশেরনগর পোস্ট অফিসে পরিবার সঞ্চয়পত্র, সঞ্চয় ব্যাংক, সাধারণ হিসাব, মেয়াদী হিসাব দু’বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগন্তিতে পড়েছেন পোস্ট অফিসের সেবা প্রত্যাশী গ্রাহকরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রবাসী অধ্যুষিত এই এলাকায় শমশেরনগর বিমান বাহিনী ইউনিট, বিএএফ শাহীন কলেজ, রেলওয়ে স্টেশন, চাতলা শুল্ক স্টেশন রুট, একাধিক চা বাগান ও স্কুল-কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার রয়েছে।
এসব কারণে শমশেরনগরে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। জমি ক্রয়-বিক্রয় ও নতুন নতুন ভবন ও বাসাবাড়ি গড়ে উঠছে। সময়ের চাহিদার সাথে সাথে এখানকার ব্যবসা বাণিজ্য ও জমিজমার গুরুত্বও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিএএফ শাহীন কলেজ শমশেরনগর এর পাশাপাশি ইতিমধ্যে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলেরও ভবন নির্মিত হচ্ছে। এলাকার প্রবাসী, চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ীদের পরিবারগুলো ডাকঘরের মাধ্যমে পরিবার সঞ্চয়পত্র, মেয়াদী হিসাব, সঞ্চয় ব্যাংক ও সাধারণ হিসাবের দিকে ঝুঁকে ছিলেন। অনেকেরই মেয়াদ পূর্তি হওয়ায় ভেঙ্গে টাকা উত্তোলন করছেন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ২০২১ সনের ৩০ জুন থেকে সেবা প্রত্যাশীদের এসব সুবিধা বন্ধ করে দেয়ায় করে দিয়েছে। ফলে সেবা প্রত্যাশীরা নতুন করে পরিবার সঞ্চয়পত্র, মেয়াদী হিসাব, সঞ্চয় ব্যাংক ও সাধারণ হিসাব খুলতে পারছেন না।
এতে সেবা প্রত্যাশীরা একদিকে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন অপরদিকে পোস্ট অফিসের সাথে সম্পর্কের ছেদ হচ্ছে। ফলে জনমানবহীন ও বেহাল দশায় পরিণত হচ্ছে শমশেরনগর পোস্ট অফিস। শমশেরনগর পোস্ট অফিসের সেবা প্রত্যাশী লীনা সুলতানা, চম্পা রানী নাথ, আলমগীর হোসেন সহ কয়েকজন গ্রাহক জানান, আমরা আগে যেসব সুবিধা পেয়েছি এখন আর সেসব সুবিধা নেই। তাছাড়া শমশেরনগর এলাকাটি জনগুরুত্বপূর্ণ এবং বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে পরিবার সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য সুবিধাগুলো বন্ধ হওয়ায় গ্রাহকরা মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। জনগুরুত্ব বিবেচনা করে এসব পোস্ট অফিসের সুযোগ সুবিধাগুলো চালু করার দাবি জানান তারা। এ ব্যাপারে শমশেরনগর পোস্ট মাস্টার মো. এলাইছ আলী পরিবার সঞ্চয়পত্র, সঞ্চয় ব্যাংক, সাধারণ হিসাব, মেয়াদী হিসাব দু’বছর ধরে বন্ধ থাকার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গ্রাহকরা পুনরায় এসব সুবিধার জন্য এসে চাপাচাপি করেন। তবে এগুলো চালু হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।