নারায়ণগঞ্জফতুল্লা

ফতুল্লায় মিশুক চালককে হত্যার দুই ঘাতককে আটক করেছে র‌্যাব

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নয়াবাজার মুসলিমনগর এলাকায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গলাকেটে মিশুক চালক সুজন ফকির (৪৫) কে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মো. আব্দুল মজিদ (৩৭) এবং হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারী তার ভাতিজা মো. মজজেম হোসেন (২৮)।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র‌্যাব-১১’র সদর দফতরে প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান কোম্পানী  অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।

র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর পাশা বলেন, ১৬ অক্টোবর মিশুক চালক সুজন ফকিরের (৪৫) গলাকাটা ও রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সজিব ফকির বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

তিনি আরও বলেন, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আব্দুল মজিদের স্ত্রীর সঙ্গে নিহত সুজন ফকিরের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এর কারণে সমসাময়িককালে মজিদ ও তার স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ৫ অক্টোবর আব্দুল মজিদের স্ত্রী কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্ত্রীকে না পেয়ে আব্দুল মজিদের সন্দেহ হয় তার স্ত্রী সুজন ফকিরের হেফাজতে আছে। তখন থেকেই তিনি তার ভাতিজা মজজেম হোসেনকে নিয়ে সুজন ফকিরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। মজজেম তার খালাতো ভাই মো. হাসানকে (২২) সঙ্গে নিয়ে আসে।

তানভীর পাশা বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগের রাতে মজজেম ও হাসান নারায়ণগঞ্জে আসে এবং আব্দুল মজিদের পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ঘটনার দিন সকালে সুজন ফকিরের এলাকায় যান। মজিদ মোবাইল ফোনে সুজনকে ভাতিজা মজজেমের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। সুজন দেখা করতে গেলে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান মজজেম। হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী হাসান গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করে। তাকে গ্রেফতারে র‌্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারদের সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close