নারায়ণগঞ্জরাজনীতি

ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার মুন্নি সভাপতি ও রাতুল সাধারণ সম্পাদক

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার মুন্নি সরদারকে সভাপতি ও ফয়সাল আহম্মেদ রাতুলকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার ১০ম কাউন্সিল উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশ আলােচনাসভা, কমিটি পরিচিতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে উদ্বোধন ঘােষণা করা হয়। উদ্বোধন ঘােষণা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল কাদেরি জয়। উদ্বোধন শেষে শহিদ মিনার থেকে একটি বর্নাঢ্য মিছিল বের হয়ে আলী আহম্মদ চুনকা পাঠাগারে এসে শেষ হয়।

চুনকা পাঠাগারে এসে আলাচনা সভা শুরু হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত পাঠচক্র ফোরামের সদস্য জর্নাদন দত্ত নান্টু, বাসদ জেলার সমন্বয়ক নিখিল দাস, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল কাদেরী জয়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক বেলাল হােসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল, জেলার অর্থ সম্পাদক ও কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মুন্নি সরদার, ফতুল্লা থানার আহ্বায়ক ও কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ফয়সাল আহম্মেদ রাতুল প্রমুখ। আলােচনাসভা শেষে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত কমিটি পরিচয় করিয়ে দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তার। কাউন্সিলে মুন্নি সরদারকে সভাপতি ও ফয়সাল আহম্মেদ রাতুলকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি নির্বাচিত হয়। আলােচনাসভা ও কমিটি পরিচিতি শেষে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংস্কৃতিক টিম বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, করােনা মহামারীর কারণে দেশের সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ হয়ে থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর খােলা হয়েছে স্কুল কলেজ।

কিন্তু বন্ধ থাকা সময়ের শিক্ষা ঘাটতি কিভাবে পূরণ করা হবে সেটা নিয়ে সরকারের কোন ধরনের রােড ম্যাপ তৈরি করা হয়নি। এর মধ্যে করােনাকালীন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন চালু রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে এক চরম অনিশ্চয়তা ও হতাশা বিরাজ করছে। প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী ও ৫০ লাখ শিক্ষক। এর প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনই আজ বিপর্যস্ত ও অনিশ্চিত। আজকে এই অনিশ্চিত জীবন থেকে রক্ষা পেতে আজকে এই অনিশ্চিত জীবন থেকে রক্ষা পেতে আত্মহত্যার মতাে পথ বেছে নিচ্ছে শিক্ষা্থীরা। করােনার প্রভাবে ব্যাপক শিক্ষার্থী ঝড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, বেড়েছে বাল্যবিয়েও। বিআইডিজি এর এক গবেষনায় এসেছে ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রচন্ড মানসিকচাপের মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছে। অন্যদিকে শিক্ষাকে পণ্যে পরিনত করেছে, টাকা যার শিক্ষা তার এই নীতিতে চলছে। শিক্ষাব্যবস্থা। এই নীতিতে যদি চলতে থাকে তাহলে অসংখ্য শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়বে। নেতৃবৃন্দ আরাে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জলা বাংলাদেশের ধনী জেলাগুলাের মধ্যে অন্যতম। এই জেলায় শিক্ষা চরম সংকটগ্রস্ত। এখানে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নাই। নেই একটি মেডিক্যাল কলেজ। গত কয়েক বছর যাবৎ মেডিক্যাল কলেজের কাজ হচ্ছে কিন্তু সেটা খুবই ধীরগতিতে। নারায়ণগঞ্জে ছাত্র সংখ্যার তুলনায় সরকারি স্কুল কলেজ অপ্রতুল। শিল্প শহর হওয়ায় এখানে শ্রমজীবী মানুষের বাস বেশি। কিন্তু সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কম হওয়ায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাহাড় পরিমাণ খরচ মিটিয়ে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের সন্তানদের পক্ষে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close