চট্টগ্রামের শাহ আমানত ব্রিজ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আনুমানিক ১১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য (ইয়াবা ট্যাবলেট) নিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রামে উদ্দেশ্যে বাস যোগে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১০ মার্চ ২০২৩ খ্রি. তারিখ আনুমানিক ১৬০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি বিশেষ আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্নফুলী থানাধীন শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজা সংলগ্ন আনসার ক্যাম্প মসজিদের সামনে কক্সবাজার টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর বিশেষ চেক পোস্টের মাধ্যমে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে।
তল্লাশীর এক পর্যায়ে বাস থেকে একজন ব্যক্তি সু-কৌশলে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে অভিযানে দায়িত্বরত র্যাব সদস্যরা তাকে আটক করে। পরবর্তীতে আটককৃত ব্যক্তিকে বাস থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ধৃত ব্যক্তি মোঃ রকিব (২০), পিতা- মোঃ শফি ইসলাম, সাং- সুগন্ধি মাইজপাড়া, থানা- সাতকানিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম বলে স্বীকার করে এবং গাড়ির বামপার্শ্বে সাইড বক্সে লাগেজের ভিতর ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে বলে জানায়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদেও সামনে আটককৃত আসামী নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে বাসের সাউড বক্সের ভিতরে থাকা একটি লাগেজে রক্ষিত অবস্থায় সর্বমোট ১০৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ধৃত আসামী মোঃ রকিব (২০) বৈশিষ্ট্যগতভাবে একজন মাদক ব্যবসায়ী। সে দেশীয় পদ্ধতিতে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে ইয়াবা বহন করে। এবার সে ট্রলি ব্যাগের পেছনের লাইনারের মধ্যে ইয়াবা লুকিয়ে রেখে চট্টগ্রামে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করে। ইয়াবাগুলোকে লাগেজের ভিতরে পলিব্যাগের সঙ্গে এমন ভাবে রেখেছে যা ভিতরে ইয়াবা আছে বলে বোঝা যায় না। তল্লাশী করার সময় লাগেজের পিছনের সাদা প্লাস্টিকের টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি লাইন দেখে সন্দেহ হয় এবং ওই অংশটি খুলে ভেতরে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা ইয়াবাগুলো উদ্ধার কার হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত আলামত সক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।