আড়াইহাজারজাতীয়নারায়ণগঞ্জরাজনীতি

জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে-নজরুল ইসলাম বাবু

বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে-নজরুল ইসলাম বাবু (এমপি)

ইউসুফ আলী প্রধানঃ  শুক্রবার ৬ এপ্রিল সন্ধায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিশনন্দী ইউনিয়ন গাজীপুরা ১নং ওয়ার্ড  আওয়ামী লীগের উদোগের ঈদ আনন্দ ও উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও বাংলার চোখ সম্পাদক কে এম আবু হানিফ হৃদয় এর সঞ্চালনায়  অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ -২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু (এমপি)। এ সময় তিনি বলেন; বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন ছিলো স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে মহান মুক্তিযাদ্ধের পর মানুষ হাঁসবে এদেশের মানুষের আশা পুর্ণ হবে। ভাত কাপড়ের নিশ্চয়তা হবে,শিক্ষার নিশ্চয়ত, শিক্ষা শেষে কাজের নিশ্চয়তা হবে। কিন্তু আপনারা দেখেছেন স্বাধীনতার মাত্র সারে তিন বছর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে  হত্যা করে আততায়ীরা  সেনাবাহিনীর উচ্চবালাসী লোভী কয়েকজন সদস্য যার আন্যতম জিয়াুর রহমান বঙ্গবন্ধুে হত্যার পর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জিয়াুর রহমান এরশাদ খালেদা জিয়ারা এদেশেকে শাসনের নামে শোষন করেছে।আমদের ত্রিশ লক্ষ  শহীদের আত্মা কষ্ট পেয়েছে।মুক্তিযুদ্ধারা যেন যুদ্ধে গিয়ে অপরাধ করেছে, মতিঝিলের মোড়ে মোড়ে হাত পেতে মানুষের কাছে মেয়ের বিবাহের টাকা চাইতেন।পেটের খুধা নিবারণের জন্য সব বিলিয়ে দিতেন।এমন একটি বাংলাদেশ জিয়ায়ুর রহমান এরশাদ খালেদা জিয়ারা রেখে গেছেন।বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশের আনাচে কানাচে রাস্তা ঘাটে আপনাদের পিছে পিছে ঘুরে  টেকনাফ,তেতুলিয়া রূপসা,পাথুরিয়া, সুন্দরবন, বান্দরবন প্রত্যেকটি মানুষকে জাগ্রত করে বঙ্গবন্ধু মুজিবের হত্যার কথা বলে এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর কথা বলে শিক্ষা,চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিবেন বলে মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন বলে মানুষের কাছে ভোট চেয়েছিলেন।৯৬ সাল বঙ্গবন্ধুর কন্যা আপনাদের ভোটে নির্বাচত হয়ে সরকার গঠন করেছিলেন দেশের প্রতিটি মানুষ স্বপ্ন দেখেছেন মাত্র ৫ বছরে জননেত্রী দেশের চেহারা পরিবর্তন করেছিলেন।কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি ষরযন্ত্র মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে বীরবাঙালীর ইতিহাস  নিগৃহীত হয়েছে  মিথ্যা ইতিহাস ছেলে মেয়েদের পড়ানো হয়েছে। উন্নয়নের নাম লুটপাট করা হয়েছে বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েগিয়েছিলো। তাঁতীদের পেটে লাথি শিল্প প্রতিষ্ঠানে তালা,বিদ্যুতের অভাবে দেশ অচল হয়ে গিয়েছিলো দেশের টাকা লুটপাট করে খালেদাজিয়ার পুত্র তারেক জিয়া মালেয়েশিয়ায় প্রাচার করে দিয়েছিলো। বেগম খালেদাজিয়া নিজেও এতিমদের টকা মেরেদিয়েছিলো। দেশের উন্নয়নের নাম ধোঁকাবাজি হয়েছে। দেশের উন্নয়ন মানুষের কল্পনার  মধ্যে রয়েছে।আমরা ভেবেছিলাম বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেছিলো তারা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে  কাজ করবে ভাগ্যের পরিবর্তন আর হয়নী। ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আবার পুনরায়  ক্ষমতায় আসার পর তিনি বলেছিলেন  এদেশের উন্নয়নে তিনি কাজ করবেন তারই ধারাবাহিকতায় একটি ভোট আপনারা আমাকে নৌকায় দিয়েছিলেন শেখ হাসিনার মনোনীত হিসেবে রাজপথ থেকে আমাকে সংসদে কথা বলার সুযোগ করে দিয়ে ছিলেন । আপনাদের ১টি ভোট আমার হৃদয় কিনে রেখেছে আপনাদের একটি ভোটের জন্য আমি সেদিন চীর ঋনী হয়ে যাই। তারপর পরপর তিনবার আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন ২০০৮ সালে যখন আমাকে নির্বাচত করেন তখন আমি আপনাদের কথা দিয়েছিলাম আপনারা আমাকে একটি ভোট দিন আমি আপনাদের ঘর আলোকিত করবো বিদ্যুতব্যাবস্থার আমরা উন্নতি করবো। বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে আমরা সেই কাজটি শতভাগ পুর্ণ করেছি। গোপালদী বাজারের কাদা পায়ের উপরে উঠতে দিবোনা গোপালদী বাজারকে আধুনিক বাজার হিসেবে রূপান্তর করেছি।গোপালদীকে পৌরসভায় রুপান্তর করেছি।শিক্ষার অব্যাবস্থাপনা দুর করে এখানে একটি পুর্নাঙ্গ কলেজ করেছি উচ্চ শিক্ষার দ্বার খুলে দিয়েছি রাস্তা,ঘাট,কাভার্ট, ব্রিজ সবকিছুতে পরিবর্তন এনেছি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলির পরিবর্তন এনেছি মসজিদ মাদ্রাসা প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের অবদান রয়েছে আমদের মহান নেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা উন্নয়নের মাইল ফলক হিসেবে সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছেন আজকে যেই বাংলাদেশে একটি রাস্তার অভাবে ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম যেতে ১১-১২ ঘন্টা সময় লাগতো আজকে সেখানে ৪ লেন ৬ লেট ৮ লেন করে ময়মনসিংহ চট্রগাম সিলেট বরিশাল গোপালগঞ্জ খুলনা আমাদের কাছাকাছি এনে দিয়েছে। একটু মোবাইল ফোন খালেদা জিয়ার সময়ে সেট সহ কিনতে ৫৮ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা লাগতো সেই ফোন রিক্সা ওয়ালা ভাইরা বিনা টাকায় সিম কিনে ১ হাজার টাকা হলে ফোন  চালাতে পারে। সবার হাতে আধুনিক ব্যাবস্থা করে দিয়েছি আজকে যদি জিজ্ঞেস করি একজনের কাছে একাদিক সিম রয়েছে। আজকে বিদ্যুতের অভাবে ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা বন্ধ হয়না।বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে দিনের বেলায়ও মোমবাতি জ্বালিয়ে এস এস সি পরিক্ষা দিতেহতো।আজকে মৌলিক চাহিদাগুলি পুরণ হয়েছে ঢাকা শহর অচল হয়েগিয়েছিলো ফ্লাইওভারের রাজধানীতে পরিনত হয়েছে ফ্লাইওভার হতে হতে বাড়ির কাছে রূপগঞ্জের গাউছিয়াতে ফ্লাইওভার তৈরী হয়েছে। বিশনন্দীতে হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে ফলিতপুষ্টি ইনিষ্টিটিউট হয়েছে, দুই উপজেলাকে একত্রিত করেতে ফেরী চালুকরেছি প্রতিটি উচ্চবিদ্যালয়ে ৪,৫ তলা ভবন,সহ উন্নয়ন দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আড়াইহাজারের মানুষ খেয়ে পড়ে ভালো আছে বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর কন্যার জন্য দোয়া করে এই পবিত্র রমজানে মানুষের ঘরে ঘরে খাবার ছিলো আমরা সুন্দর ভাবে ঈদ করতে পেরেছি। নেতৃত্বের গুনাবলীর জন্য আমরা শেখহাসিনার কাছে আমরা ঋনী বঙ্গবন্ধুর কন্যা এমন শাসন দিয়েছে চুরি ডাকাতি নিয়ন্ত্রন, উন্নয়নের মাইলফলক র

রাস্তা ঘাটে মানুষের মুখে হাসি এখন আমরা খেয়েপরে ভালো আছি আনন্দে আছি।। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী দিনে সবাই এক সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথেই থাকব। ভোট দিয়ে আবারও নৌকাকে জয়ী করব।  উন্নয়নের ধারাকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবেনা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অন্যান্নের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন; উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম সরকার,উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যন কাজী বেনজীর আহাম্মদ,গোপালদী পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযাদ্ধা আবুল হাসেম,উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি আহাম্মেদুল কবির উজ্জল,সাধারনসম্পাদক রেজাউল করিম ভূঁইয়া,উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: গোলাম মোস্তফা,বিশনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যন সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া, সাধারণসম্পদক জাকির হোসেন, বিশনন্দী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন,সাধারণ সম্পাদক আরজু,সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমান উল্লা আমান, বিশনন্দী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আবুল বাশার,  ছাত্রলীগ নেতা সোহেল, সাবেক ছাত্র নেতা আমীর হোসেন আমীর,ভাইস প্রিন্সিপাল ফারুক,বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবু হানিফ,প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা মুজান্মেল হক,প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুর রহমান আজিজ,প্রবাসী আ:ছালাম, শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নোলক বাবু বিন্দু কণা সহ ঢাকা ও কলকাতার জনপ্রিয়  শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close