জাতীয়নারায়ণগঞ্জরাজনীতি

নারায়ণগঞ্জের জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঞ্চে পাশাপাশি শামীম-আইভী

নারায়ণগঞ্জের জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা আ.লীগের সহসভাপতি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ৩ টায় ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সম্মেলন মঞ্চে প্রভাবশালী এই দুই রাজনীতিবিদকে পাশাপাশি সিটে বসতে দেখা গেছে।

ইতিপূর্বে তারা এক মঞ্চে বসলেও তাদের পাশাপাশি বসতে দেখা যায়নি। কিংবা তাদের মধ্যে কোন কথা হয়না।
সবশেষ সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সেলিনা হায়াৎ আইভী ও শামীম ওসমানকে একমঞ্চে দেখা যায়। একমঞ্চে বসলেও তারা মঞ্চের ভিন্নদিকে বসেছিলেন। এরআগে এই বছরে পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতারের অনুষ্ঠানে এক টেবিলে বসেছিলেন তারা। কিন্তু দুটো অনুষ্ঠানে তাদের মধ্যে কোন কথোপকথন হতে দেখা যায়নি।

সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের বিরোধ দীর্ঘদিনের। তাঁরা প্রায়ই একে অপরকে উদ্দেশ্য করে তির্যকমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁদের সচরাচর এক মঞ্চে বসতে দেখা যায় না।

এদিকে দীর্ঘ ২৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে তারা দুজনেই উপস্থিত হয়েছেন এবং বসেছেন পাশাপাশি চেয়ারে। এ ধরনের চিত্র খুবই বিরল।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যকরি পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

স্থানীয় রাজনীতিবিদরা বলছেন, ১৯৭৩ সাল থেকে আইভীর বাবা পৌর পিতা আলী আহম্মেদ চুনকা ও শামীম ওসমানের বাবা সামসুজ্জোহা থেকে এক বিরোধ শুরু হয়। তাদের মধ্যে সেই বিরোধ ধারাবাহিকতায় চলছে। আইভী ও শামীমের বিরোধ মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে অনেকবারই চেষ্টা করা হয়েছে।

কিন্তু এই বিরোধ মিটেনি। ২০১১ সালে প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইভীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন শামীম ওসমান। এরপর থেকে তাদের বিরোধী এক ধাপ এগিয়ে যায়। ২০১৩ সালে চাঞ্চল্যকর ত্বকী হত্যায় এ বিরোধ বেড়ে যায় বহুগণ।

 

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচনে প্রকাশ্যেই আইভীর মনোনয়ন বিরোধিতা করে মাঠে নামেন শামীম ওসমান। ২০১৮ সালে ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হয়েছিলেন আইভী। সেই হামলার ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযোগের আঙুল শামীম ওসমানের দিকেই তুলেন মেয়র আইভী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close