নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের ৫৪ শহীদদের নামে গণসংহতি’র বৃক্ষ রোপণ: শহীদি চত্ত্বর নির্মাণের দাবি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আজ ২৫ জুলাই, শুক্রবার গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে গণঅভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জের ৫৪ জন শহীদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ সিটি পার্কে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন শহীদ সজলের পিতা হাসান মাহমুদ, শহীদ আদিলের পিতা মোঃ আবুল কালাম, শহীদ মাবরুর হোসেন রাব্বির পিতা আব্দুল হাই, শহীদ ইমরানের মাতা কোহিনুর আক্তার, শহীদ আরমান মোল্লার স্ত্রী সালমা আক্তার, শহীদ মহসীনের কন্যা রুনা আক্তার, শহীদ তুহীনের স্ত্রী আলেয়া আক্তার মীম, শহীদ শফিকুলের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার, শহীদ সাইফুল হাসান দুলালের বোন মৌসুমি নাসরিন, শহীদ আহসান কবিরের পিতা মোঃ হুমায়ূন কবির, শহীদ স্বজনের ভাই অনিক, শহীদ মোঃ জনির পিতা মোঃ ইয়াসিন, শহীদ হযরত বিল্লালের পিতা মোঃ সজল।
শহীদ মাবরুর হোসেন রাব্বির পিতা আব্দুল হাই বলেন, আজ বড় দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি। আমার সন্তান আর পৃথিবীতে নেই। শত চেষ্টা করেও তাকে ফেরাতে পারিনি। কিন্তু আমি গর্বিত একজন শহীদের পিতা হিসেবে আমাদের সন্তানদের যারা হত্যা করেছে সেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার দাবি করছি। একই সাথে আমাদের সন্তানদের নামে এই চত্ত্বরে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। এই চত্ত্বর দুটিকে শহীদি চত্ত্বর হিসেবে নামকরণ করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
তরিকুল সুজন বলেন, আমরা সকলেই জুলাই আগষ্টের পুরো সময় জানবাজি রেখে লড়াই করেছি। অনেকেই রাজপথে হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করে পরিবারের কাছে ফিরতে পেরেছি, অনেক ভাইয়েরা-বোনেরা পরিবারের কাছে ফিরতে পারে নি। দেশের মানুষের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য শহীদ হয়েছে। সেই সব ভাই-বোনদের স্মরণে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষ পূর্তিতে গণসংহতি আন্দোলনের মাসব্যাপী কর্মসূচী চলছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী এই ঐতিহাসিক লড়াইয়ে নারায়ণগঞ্জের স্বজন, আমানত, রিয়া গোপ সহ ৫৪ জন শহীদ হয়েছেন। আমরা যথাযথ মর্যাদার সাথে শহীদদের স্মরণে রাখতে চাই।
অঞ্জন দাস বলেন, আমরা শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনতার এ লড়াই সকল বৈষম্যের অবসানের মধ্য দিয়েই সমাপ্ত হতে পারে। এই শহীররা সেই চলার পথে আমাদের পথপ্রদর্শক। গণসংহতি আন্দোলন সেই লক্ষ্যে অবিচল।
মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী বিপ্লব খান বলেন, ফ্যাসিবাদী কাঠামোর বিলোপ ও জনগণের অধিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াই চলমান রয়েছে। রোপণকৃত গাছগুলো প্রাণ-প্রকৃতিকে রক্ষায় ঢাল হিসেবে কাজ করবে। যেমন করে আমাদের শহীদেরা জীবন দিয়ে বাংলাদেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছেন। ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণী সরকার, জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম, প্রচার সম্পাদক শুভ দেব, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল হাসান দ্বিপু, কার্যকরী সদস্য আওলাদ হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, প্রতিবেশ আন্দোলন জেলার আহ্বায়ক রাইসুল রাব্বি, যুব ফেডারেশনের জেলার আহ্বায়ক সাকিব হোসেন হৃদয়, সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম ইফতি সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।