চট্টগ্রাম বিভাগ

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদ মিনারে যাননি সন্তু লারমা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস প্রধান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমাকে এবারও দেখা যায়নি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদ মিনারে। তবে তাঁর দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা সাবেক এমপি ঊষাতন তালুকদার নেতাদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শহীদ বেদীতে। এদিকে দলটির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রসীত খীসার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফের কোনো নেতাদেরও উপস্থিতি দেখা যায়নি।

বুধবার রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। সূর্য্যদয়ের সাথে সাথে ৫টা ৫৬ মিনিটে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ বেদীতে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন।

পরে শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, স্মৃতিস্তম্ভ, শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। এতে পৃথকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ, রাঙামাটি জেলা পুলিশ সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি, বিএনপি, এলডিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন অংশ নেন। পরে রাঙামাটি মারী স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং পরিবারদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

সকাল ৬টা ৪৮ মিনিটে ঊষাতন তালুকদার দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন শহীদ মিনারে। এরপরে শহীদ বেদীতেই মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

তবে দলটির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রসীত খীসার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ সহ পাহাড়ের অন্য আঞ্চলিক সংগঠনগুলোকে উপস্থিতি দেখা যায়নি।

এরপর সকাল ৭টায় পুষ্পস্তবক নিয়ে শহীদ মিনারে আসেন চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। পরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close