জাতীয়

জনগণের পকেট কেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ‘মহার্ঘ ভাতা’

নতুন করে শুল্ক-কর বৃদ্ধির নামে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পকেট কেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দেওয়া হচ্ছে মহার্ঘ ভাতা। এটিকে চরম বৈষম্যমূলক বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এমন সিদ্ধান্তে মূল্যস্ফীতিতো কমবেইনা বরং বাজার পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হওয়ার শঙ্কা তাদের। এ থেকে বের হয়ে কর আদায়ের ভিন্ন পথ খোঁজার পরামর্শও দিচ্ছেন তারা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের সবশেষ তথ্য বলছে, আগস্টের ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ডিসেম্বরে দাড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। কোনভাবেই বাগে আনতে না পারায়, মূল্যস্ফীতির সাথে খাপ খাওয়াতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসে সরকারে পক্ষ থেকে।

তথ্য মতে সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর জন্য বছরে সরকারকে বাড়তি খরচ গুনতে হবে অন্তত ৭ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে বাড়তি এই ব্যয়কে অযৌক্তিক মনে করছেন না অর্থনীতিবিদরা। তবে, শুল্ক-কর বাড়ানোর নামে বছরে প্রায় অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা মধ্যবিত্তের পকেট থেকে নেওয়াটাকেও যৌক্তিক বলতে নারাজ তারা।

অর্থ বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার স্বীকার করুক বা না করুক মূলত আইএমএফের চাপেই রাজস্ব ঘাটতি পূরনে নতুন করারোপ করা হয়েছে। যাতে বাড়তি চাপে পিষ্ট হবে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। কিছু পণ্যের ভ্যাট আদায় থেকে বেরিয়ে রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে ভিন্ন পথ খোঁজার তাগিদ অর্থনীতিবিদদের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close