অপরাধনারায়ণগঞ্জ

নাশকতার মামলায় গ্রেফতার সুলতান মাহমুদ : সাংবাদিকদের দেখে নেবার হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার: ভেজাল প্রতিরোধ নামে অবৈধ ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও পুলিশের ভয় ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজিই যার মুল পেশা। সেই সুলতান মাহমুদ অবশেষে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। রাষ্ট্র বিরোধী মামলা আসামি সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা ও অভিযোগ। গত ৬ নভেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের জামতলা হীরা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে সুলতান কে আটক করা হয়। ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদর থানার একটি নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে ডিবি পুলিশ। এসময় সাংবাদিকরা গ্রেফতারের ছবি তুলতে গেলে সুলতান মাহমুদ কয়েকজন ফটো সাংবাদিককে দেখে নেবার হুমকি দেয় এবং জামিনে বেরিয়ে সাংবাদিকতা ছুটিয়ে দেবে বলে হুংকার দেয় সুলতান মাহমুদ। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ শাখার সভাপতি পরিচয়দানকারী সুলতান মাহমুদ চিহ্নিত একজন ভয়ানক ব্যক্তি। বিভিন্ন শিল্প বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, কারখানা ও বিশিষ্টজনদের ব্লাকমেইল করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় জঙ্গি গ্রুপের নাশকতার মামলা হয় সুলতানের বিরুদ্ধে। এজাহারভুক্ত আসামি নং ৬৩। মামলা  নং ১৩। এছাড়াও এবছর ২১ আগষ্ট পুলিশের উপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় সুলতানের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের হয় সোনারগাঁও থানায়। এজাহারভুক্ত আসামি নং ৮১, মামলা নং ৩১। গত অক্টোবরে নারায়ণগঞ্জে জ্বালাও পোড়াও ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ডিবি পুলিশ অবশেষে সুলতান কে গ্রেফতার করে আদালতে চালান দেয়। নারায়ণগঞ্জ সদর থানার নাশকতার মামলা নং ৩১(১০)২৩।
এদিকে সুলতান মাহমুদ এর গ্রেফতারের খবরে নারায়ণগঞ্জে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ভুক্তভোগীগণ। সুলতান মাহমুদ অহেতুক বিভ্রান্তি সৃষ্টি সহ যার তার সাথে ঝগড়া বাঁধিয়ে রাখে এবং ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে হয়রানি করে থাকে। মান সম্মান ক্ষুন্ন সহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি চালাচালি করে অফিসারদেরও বিব্রত করে বদলী করে দেয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিলো। ভেজাইল্লা সুলতান মাহমুদ রয়েছে একটি চিহ্নিত প্রতারক চক্র। সুলতান মাহমুদ নিজেকে বড় অফিসার ও বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক এবং সম্পাদক পরিচয়ে অবৈধভাবে ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অপরাধ মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সুলতানের গডফাদার ও অপরাধের শেল্টার দাতা জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পরিচয়দানকারী আরেক চাঁদাবাজ ও প্রতারক সৈয়দ মুহাম্মদ মোর্শেদ। এছাড়াও রয়েছে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামি প্রতারক কামাল প্রধান। কামালের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করতো সুলতান। বর্তমানে কামাল প্রধান জেলে রয়েছে। তবে সচেতন মহল মনে করছে কামাল ও সুলতানের মিলন ঘটনোর জন্য উভয় প্রতারক এখন জেলে বসে পরিকল্পনা করতে পারবে। অন্য দিকে সুলতান মাহমুদের সহযোগিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে সচেতন মহল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close