নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর নতুন নেতৃত্ব আসছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবলীগে। সেই আলোকে চলছে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রস্তুতি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ আগষ্ট কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ২৮ আগষ্ট সন্ধ্যায় ৬টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী যুব লীগের পদপ্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়।
জীবন বৃত্তান্ত কেন্দ্রে জমা দেয়ার শেষ দিনে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পদে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু ও যুগ্ম আহ্বায়ক পদে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি জীবন বৃত্তান্ত কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন বলে তারা নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক পদে জীবন বৃত্তান্ত কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন বর্তমান সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী রেজা উজ্জল। তাঁরা দুজনেই আহ্বায়ক পদে জীবন বৃত্তান্ত কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি, জেলা যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, যুবলীগ নেতা আহম্মেদ কায়সারসহ যুবলীগের বর্তমান ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা জীবন বৃত্তান্ত কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আগ্রহী প্রার্থীরা তাদের জীবন বৃত্তান্ত কেন্দ্রে জমা দেয়ার পর পদ-পদবি পেতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে আটঘাট বেঁধে লবিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
জীবন বৃত্তান্ত জমা নেয়ার পর তা নানাভাবে যাচাই-বাছাই চলছে।
এসকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে গঠন করা হবে আহ্বায়ক কমিটি। এরপর জানানো হবে সম্মেলনের দিনক্ষণ। এমন খবরে জেলা ও মহানগর জুড়ে উজ্জীবিত যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী যুবলীগের পদ প্রত্যাশীরা আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক পদে জীবন বৃত্তান্ত কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন। এখন দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা সেগুলো যাচাই বাছা শেষে শীঘ্রই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করবে। পরবর্তী সময়ে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করবেন।
সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। এতে সভাপতি হন আব্দুল কাদির এবং সাধারণ সম্পাদক হন এড. আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল। এছাড়াও কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি করা হয় জাকিরুল আলম হেলালকে এবং যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছিল শাহ নিজামকে।
তাদের মধ্যে এই চারজনই এখন আওয়ামী লীগের কমিটিতে গুরুত্ব পদে রয়েছে। তারমধ্যে আব্দুল কাদির জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম ও সাংগঠনিক সম্পাদকে রয়েছে জাকিরুল আলম হেলাল।
সূত্র আরও জানায়, জেলা যুবলীগের সম্মেলনের পর একই বছরের ২৫ জুলাই শহর যুবলীগ কমিটির অনুমোদন করেন কাদির ও বাদল। এই কমিটির সভাপতি করা হয় শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনুকে আর সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল। কিন্তু কমিটি গঠনের ১৪ বছরেও দ্বিতীয় কোনো সম্মেলন হয়নি।
তবে আব্দুর কাদির জানিয়েছেন, ২০০৫ সালে জেলার সম্মেলন হওয়ার পাঁচ বছর পর তথা ১ অক্টোবর ২০১০ সালে পুনরায় সম্মেলন হয়েছিল তাদের। সে ক্ষেত্রে তাদের কমিটির মেয়াদ ১৩ বছর। মেয়াদোত্তীর্ণ ১৩ বছর প্রায়।
এদিকে তৃনমূলের দাবি কমিটিতে এমন নেতাদের নির্বাচিত করা হউক যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। যাদের নেতৃত্বের হাত দলের প্রতি অনুগামী, ত্যাগী, সৎ ও নিষ্ঠাবান ।