জাতীয়
রেমিট্যান্স যোদ্ধারা এয়ারপোর্টে ভিআইপি সুবিধা পাবেন: আসিফ নজরুল
দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি রেমিট্যান্স। আর বিদেশ থেকে এই রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। কিন্তু বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর তারা বারবারই বঞ্চিত হন নানা সুবিধা থেকে। সেই সুবিধা যেন আর বঞ্চিত না হতে হয়, সেদিকে নজর দিচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রবাসীদের জন্য দেশের বিমানবন্দরগুলোতে ভিআইপি সুবিধা চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
আসিফ নজরুল বলেন, দেশের বিমানবন্দরে ইতিমধ্যে সেবার মান বাড়ানো হয়েছে। আরেকটি সেবা যেটা আমরা চালু করতে যাচ্ছি সেটি হচ্ছে- বিমানবন্দরে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশে আসলে ভিআইপি সেবা পাবে। একজন ভিআইপি এয়ারপোর্টে যে-সব সুবিধা পান, লাউঞ্জ ব্যবহার ছাড়া আমরা সবই করার সুবিধা দিবো।
এ উপদেষ্টা বলেন, একজন ভিআইপি যখন এয়ারপোর্টে যান তখন তার লাগেজ নিয়ে একজন সঙ্গে থাকেন, চেক-ইন করার সময় সঙ্গে একজন থাকেন, ইমিগ্রেশন করার সময় পাশে একজন থাকেন। প্রাথমিকভাবে আমরা মধ্যপ্রাচ্যের কর্মীদের টার্গেট করেছি। ইউরোপের কর্মীদের পড়ে করবো। প্রথম স্তরে মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া এবং ফেরত আসা একজন কর্মী ভিআইপি ট্রিটমেন্ট পাবেন।
প্রবাসী কর্মীদের জন্য ভবিষ্যতে বিমানবন্দরের লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, লাউঞ্জ ব্যবহার করতে দেওয়ার বিষয়ে আমরা পরে চিন্তা করছি, এটা অনেক পরের কাজ। আগামী দুই সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে আমরা যেটা করবো, বিমানবন্দরে যাওয়ার পর একজন কর্মীর যে অসহায় অবস্থা তৈরি হয় সেটি দূর করবো।
আসিফ নজরুল বলেন, কর্মী কোন গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন, চেক ইন কীভাবে করবেন, ফর্ম পূরণ করা লাগলে কীভাবে করবেন, ইমিগ্রেশনে কোনো কাগজ চাইলে কীভাবে সেটি করবেন এসব কাজে নিয়োজিত থাকবে বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক। দরকার পড়লে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ট্রেনিং দিয়ে নতুন লোক নিয়োগ করবো।
আগামী দুই সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়েছে তিনি বলেন, একজন প্রবাসী যেন কোন অবস্থাতেই এয়ারপোর্টে হয়রানির শিকার না হন, অপমানিত বোধ না করেন এই ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স থাকবে। আমরা অবশ্যই এটা নিশ্চিত করে ছাড়বো।