ঢাকা
সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্মীদের ৫ম দিনের কর্মবিরতি চলছে

প্রশাসকের অপসারণ, বকেয়া পাওনা পরিশোধ, বহিষ্কৃত কর্মকর্তাদের চাকরিতে বহাল রাখাসহ আট দফা দাবিতে ৫ম দিনের মত কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্মীরা।
রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর মালিবাগে সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্সের প্রধান কার্যালয়ে সামনে প্রতিষ্ঠানটির কয়েক শ’ কর্মী অবস্থান নেয়। কর্মীরা জানান, দাবি আদায়ের আন্দোলনে থমকে গেছে সোনালী লাইফের সব কার্যক্রম। নতুন পলিসি সংগ্রহ বন্ধ। প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন হওয়ায় কমছে গ্রাহক আস্থা। শঙ্কা তৈরি হয়েছে আর্থিক লোকসানের। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দুর্নীতি আর আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করতে এসে প্রশাসক নিজেই অনিয়মে জড়িয়ে গেছেন। পুরনো কর্মীদের নিয়ম বহিভুত ভাবে চাকরিচ্যুত করে নিজের পছন্দসই লোক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এর আগে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তা অস্বীকার করে সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্সের প্রশাসক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফেরদৌস জানিয়েছেন, আর্থিক অনিয়ম ঢাকতেই একটি বিশেষ মহল কর্মীদের বিশৃঙ্খলা করতে উস্কে দিচ্ছে।
এদিকে, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবারের ছয় সদস্য পরিচালক হিসেবে বিমা প্রতিষ্ঠানটির থেকে অন্তত ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে উঠে এসেছে একটি অডিট রিপোর্টে।
কোম্পানিটির বরখাস্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমানের অভিযোগের ভিত্তিতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ-আইডিআরএ অডিটটি পরিচালনা করে। অডিট শুরু হওয়ার পর চলতি বছর ১৮ জানুয়ারি পদত্যাগ করেন গোলাম কুদ্দুস। যদিও দেশের শীর্ষ পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়মের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন।