আন্তর্জাতিক
ফিলিস্তিনকে আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও নরওয়ের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত, ইসরায়েলের ক্ষোভ

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ইউরোপের তিন দেশ। মঙ্গলবার (২২ মে) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। খবর বিবিসির
অন্যদিকে, এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস এবং ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। অন্য দুটি দেশের সঙ্গে সমন্বিত পদক্ষেপে বুধবার (২২ মে) নরওয়ে প্রথম ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দেয়।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গহর স্টোর বুধবার বলেছেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ইসরায়েলের সর্বোত্তম স্বার্থ ছিল।তিনি বলেন, স্বীকৃতি না থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরবে না।
এর পরপরই আয়ারল্যান্ড ও স্পেনের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা আসে।
আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন বলেন, আমরা ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি জনগণের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের সমান অধিকারের জন্য আমাদের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন স্পষ্টভাবে প্রকাশ করছি।
তবে এ সমর্থন হামাসের জন্য নয় তা জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস জোর দিয়ে বলেন, হামাস ফিলিস্তিনি জনগণ নয়। তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার আজকের সিদ্ধান্ত একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত তৈরিতে সহায়তা করার জন্য নেয়া হয়েছে।
স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, এ পদক্ষেপ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয়, ইহুদিদের বিরুদ্ধে নয়।এটি হামাসের পক্ষেও নয়।তিনি বলেন, এ স্বীকৃতি কারো বিরুদ্ধে নয়, এটি শান্তি ও সহাবস্থানের পক্ষে।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেনের পদক্ষেপকে সন্ত্রাসবাদের পুরস্কার হিসাবে নিন্দা করেছেন এবং বলেন এটি শান্তি আনবে না।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ হুশিয়ারি জানিয়ে বলেন, এই ব্যাপারে ইসরায়েল চুপ করে বসে থাকবে না। কিছুদিন ধরেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য আয়ারল্যান্ড, স্পেন, স্লোভেনিয়া ও মাল্টা। সমন্বিতভাবে এ ঘোষণা দেয়ার ইঙ্গিত দেয় তারা। দেশগুলোর মতে, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান অপরিহার্য।