নারায়ণগঞ্জ

কোথায় আমার আওয়ামী লীগের কর্মীরা, হাতে কি চুড়ি পরেছেন: সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসামন বলেছেন, আমরা কারও বাড়ি বাড়ি ডাক দিই নাই। আমরা শুধু বলেছিলাম এই জায়গায় নাসিম ওসমানের জন্য দোয়ার আয়োজন করা হবে। যাদের পোস্টার উড়ছে তারা কেও উপস্থিত হন নাই। অথচ কয়দিন আগে ‘সেলিম ভাই সেলিম ভাই’ বলতে বলতে তাদের মুখ থেকে ফ্যানা বের হয়েছিল। আজ যারা উপস্থিত আছেন তারা হলেন স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। বিএনপি বঙ্গবন্ধুর অপমান করে বন্দরে নির্বাচন করতে পারেন না। কোথায় আমার আওয়ামী লীগের কর্মীরা, হাতে কি চুড়ি পরেছেন। একজন রাজাকার সন্তান, ভূমি দস্যু কি করে পোস্টার লাগায়। আর কেউ অবজেকশন দিলে উনি বলেন সরি, আর নির্বাচন কমিশন উনাকে ছেড়ে দেন। সমাজের উন্নতির জন্য, বন্দরের উন্নতির জন্য স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ লাগবে। আমাকে স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ দেন। তাকে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করতে হবে এবং সেই কাজের ধারা বজায় রাখতে হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বন্দরে নাসিম ওসমান মডেল হাই স্কুল প্রাঙ্গনে এক মিলাদ মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সেলিম ওসমান বলেন, আমার মায়ের স্বপ্ন ছিল, নাসিম ভাইয়ের স্বপ্নগুলো আমি যাতে পূরণ করি। প্রত্যেকটি ইউনিয়নে একটি স্কুল করা, নাসিম ওসমান ব্রিজ করা, নবীগঞ্জ ব্রিজ করা। আমি সেভাবেই কাজ করে গেছি এবং সামনেও যাবো। আমি কে, কোন পরিবারের সেটা মূল বিষয় না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। প্রত্যক্ষভাবে সম্মুখদিকে যুদ্ধ করেছি। রশিদ ভাই ছিলেন আমার সহকর্মী। নাসিম ওসমান একজন মুক্তিযোদ্ধা, তার সহকর্মী সানাউল্লাহ সানু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়াণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, নারায়াণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়াণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশীদ, নারায়াণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাহ্‌ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, নারায়াণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক জিএম আরমান,শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, নারায়াণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু।

আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সভাপতি এড. মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রধান, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, আলিরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্র লীগের সভাপতি ও ভিপি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী, নারায়াণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আফজাল হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর দুলাল, মহানগর ছাত্রলীগর সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান সম্রাট, সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধান প্রমূখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close