নারায়ণগঞ্জ
নাগিনা জোহার ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে লিটন আহাম্মেদ এর গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত ও সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামসুজ্জোহার সহধর্মীনি, রত্নগর্ভা মা নাগিনা জোহার ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতীলীগের আহবায়ক লিটন আহাম্মেদ।
গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় লিটন আহাম্মেদ, রত্নগর্ভা মা নাগিনা জোহার বিদেহী আত্নার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করি তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৭ মার্চ তিনি মারা যান। এ উপলক্ষে মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। নাগিনা জোহা ছিলেন ভাষাসৈনিক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সংসদ সদস্য একেএম সামসুজ্জোহার সহধর্মিণী। তার তিন ছেলে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান ও ছোট ছেলে একেএম শামীম ওসমান একাধিকবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। নাগিনা জোহা ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেমনগরের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই গ্রামটির নাম কাশেমনগর রাখা হয়। তার বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজহিতৈষী ও কাশেমনগরের জমিদার। শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় তার বিশেষ সুনাম ছিল। নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলিম লীগের সেক্রেটারি ও এমএলএ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্যসভার স্পিকার ছিলেন। ১৯৫১ সালে একেএম সামসুজ্জোহার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়িতে এসেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন।