স্বাস্থ্য বার্তা

শহীদ দিবসে কুতুবপুরে বিসমিল্লাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কুতুবপুরের বিসমিল্লাহ স্পেশালাইজড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ডায়বেটিস সেন্টার। বিশেষ এই দিনে দুইজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে দিনব্যাপী বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে৷ এছাড়াও এদিন সকল পরীক্ষায় থাকবে ৫০ শতাংশ ছাড়। জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবাকে আরো সহজলভ্য ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতেই ব্যতিক্রমী এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন কুতুবপুরের দেলপাড়ার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্টরা।

তারা জানান,২১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত বিনামূল্যে রোগী দেখবেন মেডিসিন, নবজাতক ও শিশু, নাক, কান, গলা, চর্ম ও যৌন রোগে অভিজ্ঞ ডা. নজম উদ্দিন কাইউম। (এমবিবিএস (ঢাকা), পিজিটি (মেডিসিন)। এক্স এইচএমও, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল৷ কনসালট্যান্ট, বিসমিল্লাহ স্পেশালাইজড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এদিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত বিনামূল্যে রোগী দেখবেন ডা. সানজিদা শহীদ মীম, এমবিবিএস (ঢাকা), সার্টিফাইড ইন মেডিকেল আল্ট্রাসাউন্ড (সিএমইউ)। মেডিসিন, গাইনী ও প্রসূতি রোগে অভিজ্ঞ৷ এছাড়াও সকল ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষায় ৫০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি৷

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের চিকিৎসাব্যবস্থায় খরচের সাথে খাপ খাওয়ানো নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য তো দূরের কথা, অনেক নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়৷ প্রায়ই দেখা যায়, কোনোমতে চিকিৎসকের ভিজিট তারা সংগ্রহ করতে পারলেও পরীক্ষানিরীক্ষা ও ওষুধের খরচ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যান৷ কখনও কখনও এরকমও হয় যে, পরীক্ষানিরীক্ষা না করিয়েই প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধের অর্ধেক কোনোমতে কিনে বাড়ি ফিরছেন রোগী৷ এতে পরীক্ষানিরীক্ষা না করায় একদিকে তাদের সঠিক রোগ নির্ণয় হচ্ছে না, অন্যদিকে পরিপূর্ণভাবে ওষুধ না খাওয়ায় শতভাগ উপকারও তারা পাচ্ছেন না। এসব বিষয় মাথায় রেখে জনগোষ্ঠীর কাঙ্খিত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতেই বিসমিল্লাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ডায়বেটিস সেন্টার- এর পথচলা শুরু৷

সংশ্লিষ্টরা আরো জানান, আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিদিন মাত্র ৫০ টাকা শুভেচ্ছা মূল্যের বিনিময়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগী দেখে থাকেন৷ পাশাপাশি সুলভ মূল্যে সকল ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষাও করাতে পারেন৷ সূচনালগ্ন থেকেই আমরা চেয়েছি, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কাউকেই যেন এখান থেকে অর্থের অভাবে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যেতে না হয়৷ একারণে আর্থিক অসঙ্গতির কারণে কেউ পরীক্ষানিরীক্ষা করাতে বা ওষুধ কিনতে অপারগ হলে আমরা বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে তার পাশে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে থাকার চেষ্টা করি। আশা করি, বরাবরের মতো এবারের আয়োজনেও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে আমরা পাশে পেতে যাচ্ছি৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close