নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ শহরে সকাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল ঢাকাগামী বাস

নগরীতে সকাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল বন্ধন, উৎসবসহ বিভিন্ন ঢাকাগামী বাস। রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে বাস না পেয়ে ভোগান্তিতে পরেন অফিসমুখী যাত্রীরা। পরবর্তীতে সকাল ১০ টা হতে বাস চলাচল শুরু হয়।

ঠিক এক দিন আগে (৩ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক ঘোষণা দেন, আমি প্রকাশ্যে ঘোষণা করছি, আগামীকাল থেকে আমি গাড়ি ডাম্পিংয়ে দেওয়া শুরু করবো। আগামীকাল থেকে রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি দেখলেই ডাম্পিংয়ে দিয়ে দেব। রুট পারমিট ছাড়া কোনো গাড়ি নারায়ণগঞ্জে ঢুকবে না। তার এই ঘোষণার পর রবিবার সকাল পর্যন্ত ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ ছিল।

চাষাঢ়ায় বিভিন্ন বাস কাউন্টারে সরেজমিনে গেলে উৎসব ও বন্ধন বাসের কাউন্টার কর্তৃপক্ষ জানান, রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাস ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এসময় উৎসব পরিবহনের কাউন্টারের কর্মচারী সাব্বির বলেন, সকাল ১০ টা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ ছিল। ২নং রেল গেট হতে পুলিশ আমাদের বাস ছাড়তে দেয় নাই। পরে বাস কর্তৃপক্ষ মিটিং করে বাস ছাড়ার ব্যবস্থা করেন। এরপর থেকে স্বাভাবিকভাবেই বাস চলাচল করছে।

বন্ধন কাউন্টারে গেলে মো. রাশেদ বলেন, আমি বন্ধন‘র একটি বাসের মালিক। ১০ বছর ধরে আমরা রুট পারমিটের জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু এখনও তা পেতে সক্ষম হই নি। তাই আমাদের বাস নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নগরীতে হকার ও যানজট নিরসনে এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা রুট পারমিট ছাড়া বাস চলাচল বন্ধ করতে একমত পোষণ করেন। জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, শহরে অবৈধ স্ট্যান্ড আমরা থাকতে দেব না। কালকে থেকে আমাদের টিম যাবে। সরকার অনেক শক্তিশালী। আমরা জনপ্রতিনিধিদের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমি খুবই আশান্বিত। আমরা কাল থেকে অভিযান পরিচালনা করবো অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করার জন্য।

মেয়র আইভী বলেন, মৌমিতা নারায়ণগঞ্জে চলতে দেওয়া যাবে না। আমাদের শহরেই তো নারায়ণগঞ্জের অনেক বাস আছে। সেগুলোরই ঠিকভাবে পারমিশন দিতে পারি না, চলতে পারে না। পুরো শহর বাসের নগরী। তাহলে কেন আরেক জায়গা থেকে আরেক জন এসে নিজেদের বাসগুলো এভাবে চালাবে।

সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, আমি এমপি হওয়ার পরও গাড়ি রাখার জন্য আলাদা জায়গা ভাড়া করেছি। আর অন্যান্যরা রাস্তার উপরে গাড়ি রাখছে এই জিনিসটা প্রশাসনের দেখা উচিত। আমার মতে, বিআরটিএ’র পারমিশন ছাড়া কোন গাড়ি সড়কে চলাচল করতে দেয়া যাবে না। এবং বিআরটিও অতগুলো গাড়ি পারমিশন দেবে না যতগুলো সড়কে দরকার নেই। এখানে অগ্রাধিকার পাবেন যারা নারায়ণগঞ্জে বসবাসকারী ব্যবসায় আছেন। যারা নিজেরা ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা করেন তাদেরকে আগেও মূল্যায়ন করতে হবে। কারণ তারা আমাদের এলাকার মানুষ এবং আমাদের এলাকার ব্যবসায়ী।

সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, আপনারা (পুলিশ) কি চাইলে পারবেন না যে, এই স্ট্যান্ড থাকবে না, রাইফেল ক্লাবে অবৈধ স্ট্যান্ড থাকবে না। আপনারা তা না পারলে, তাইলে নারায়ণগঞ্জে পুলিশ থাকার লাগবে না। আপানারা ঘুমান, আমরা বের হবো। আমরা যদি বাইরে যাই অমুকের লোক, তমুকের লোক আসছে এমনটা হবে। আপনারা (পুলিশ) গিয়ে স্ট্যান্ড সড়ায় দেন। তারপর নোটিশ দেন এখানে ফুটপাতে দোকান বসানো যাবে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close