নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে ‘ইলেকট্রিক ট্রেন’ প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী চীন-কোরিয়া
নারায়ণগঞ্জ সিটি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা নতুন মাত্রা যোগ করতে হাতে নেওয়া হয়েছে ‘লাইট র্যাপিড ট্রানজিট (এলআরটি)’ প্রকল্প। ইতোমধ্যে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ব্যাপারে চায়না ও কোরিয়ার একটি সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) কোরিয়ান ও চায়নার দুইটি সংস্থার প্রতিনিধি দল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। এই সময় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দুই দেশই।
প্রকল্পটি নিয়ে মেয়রের সাথে আলোচনা হয়েছে দীর্ঘক্ষণ। আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিসি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ ও নগর পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলামও।
এর আগে, ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর একনেকে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেন একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা গেছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নিতাইগঞ্জ থেকে সাইনবোর্ড এবং শিমরাইল থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত দুই রুটে ইলেকট্রিক ট্রেনের মাধ্যমে চলাচল করতে পারবেন নগরবাসী। এই দুই লাইনে প্রতিদিন ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ চলাচল করতে পারবে। পরবর্তীতে এই প্রকল্প কদমরসূল অঞ্চল অর্থ্যাৎ শীতলক্ষ্যার ওপারে সিটি করপোরেশনের বন্দর অঞ্চলে মদনগঞ্জ থেকে মদনপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে।
সিটি কর্পোরেশন সুত্রে জানা যায়, এলআরটি একটি গণপরিবহন ব্যবস্থা, যা ইলেকট্রিক ট্রেনের মাধ্যমে একস্থান হতে অন্যস্থানে যাত্রী পরিবহন করা হয়। উন্নত বিশ্বে আধুনিক নগরগুলোতে এ ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এলআরটির মাধ্যমে দ্রুত যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব যা সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। এ প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মেডিয়ানের উপর দিয়ে পিলারের মাধ্যমে এলিভেটেডভাবে দু’টি এলআরটি লাইন নির্মাণ করা হবে।
এক নম্বর লাইনটি নিতাইগঞ্জ হতে শুরু হয়ে চাষাঢ়া হয়ে সাইনবোর্ডে শেষ হবে। যার দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। অপরদিকে দুই নম্বর লাইনটি শিমরাইল থেকে শুরু হয়ে পঞ্চবটিতে শেষ হবে। যার দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। এই দু’টি লাইনের ইন্টারচেঞ্জ স্টেশন হবে চাষাঢ়াতে। ২টি লাইন মিলে মোট দুরত্ব ২৩ কিলোমিটার। লাইন দুটি প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজারের অধিক যাত্রী পরিবহন করবে। পরবর্তীতে এই গণপরিবহন সেবা কদমরসুল অঞ্চলে মদনগঞ্জ হতে মদনপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। এ প্রকল্পটি বর্তমানে পরিকল্পনানাধীন রয়েছে। যা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
বিষয়টি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে নিশ্চিত করেছেন সিটি কর্পোরেশন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ।