নির্বাচনী হালচালসিদ্ধিরগঞ্জ
হ্যান্ড মাইক নিয়ে প্রচারনা সমালোচনার জবাব দিলেন গুলু মেম্বার

ডেস্ক রিপোর্টঃ
গত কয়েকদিন যাবত শামীম ওসমানের পক্ষে নিজের হাতে হ্যান্ড মাইক এবং কিছু মানুষ নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ সোনামিয়া বাজারের বনিক সমিতির সাবেক সভাপতি গোলামমোহাম্মদ খান (গুলু মেম্বার)কে প্রচারণা করতে দেখা যায়।
তার এই প্রচারণায় কিছু মানুষ সমালোচনা সৃষ্টি করে। এবং তাকে হ্যান্ড মাইক নিয়ে বাড়ি ঘরে এবং দোকানে গিয়ে প্রচারণা না করার অনুরোধ জানায়।
এই সমালোচনার জবাবে সে তার ফেসবুক স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে সবাইকে জানান:
লজ্জাহীন আমি..!!
আমার শরম লজ্জা নেই লজ্জাহীন আমি!
গত কয়েকদিন যাবত শামীম ওসমানের পক্ষে ক্যাম্পিং করতে গিয়ে আমি নিজেই গুটিকয়েক সমালোচকদের চোখে বৃথাই প্রশ্নবোধক হয়ে পড়েছি।
ইতিমধ্যে অনেকেই মেসেঞ্জারে এবং ফোনে আমাকে হ্যান্ড মাইক নিয়ে বাড়িঘরে বা দোকানে গিয়ে ভোট না চাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
তাদের ধারণা এটা লজ্জার ব্যাপার যেহেতু আমার সাথে লোকজন থাকা সত্ত্বেও কেন আমি হ্যান্ড বাইক নিয়ে মাইকিং করি এটা নাকি সত্যই লজ্জাজনক!
প্রকৃতপক্ষে মাঝেমধ্যে আমি চিন্তা করি আমার কাছে যা সম্ভব নয়, অনেকের কাছে তা সম্ভব।
আমি যা পারি না অনেকের কাছে তা পানির মত সহজ!
আবার এটাও সত্য আমি যা পারি আশেপাশের অনেকে হয়তো তা পারেন না, উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে টেনে আনতে হয় আজকের প্রসঙ্গ!
অর্থাৎ জনগণের কাছে বা ভোটারদের কাছে মানুষ ভোট চাইতে পারে কিন্তু হ্যান্ড মাইক হাতে নিয়ে ভোট চায় এমন কয়জন আছেন।
তাহলে এখানে একটা প্রশ্ন থেকে যায় যিনি হ্যান্ডমাইক নিয়ে মানুষের কাছে ভোট চান তিনি কি মানুষ নন?
কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষের সরম লজ্জা থাকা ভালো আবার কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষের লজ্জা শরম রাখা মোটেও উচিত নয়।
তাদের শরম লজ্জা থাকা উচিত যাঁরা মানুষকে ঠকায়!
মানুষের উপকারে কেউ এগিয়ে আসলে সেখানে শরম লজ্জা থাকা মোটেও উচিত নয়!
জীবনের অর্ধেক সময় কানাডায় কাজ করে এসেছি।
প্রথম অবস্থায় রেস্টুরেন্টে থালা বাসন মেজেছি, রেস্টুরেন্টের ফ্লোর নিজ হাতে পরিষ্কার করেছি, যেমনটি আমার বস বা রেস্টুরেন্টের মালিক আমার সামনেই করতো!
কানাডাতে শামীম ওসমান এবং চেঙ্গিস ভাই কি কাজ করতো শুনলে অবাক হবেন, কই কখনো তো দেখিনি তাদের লজ্জা হয়েছিল।
তারা কি কাজ করে টাকা উপার্জন করে সংসার চালাতো তা নিজ চোখে দেখেছি বলেই যেকোনো কাজ করতে গেলে আমার শরম লজ্জা হয় না।
শামীম ওসমান এবং চেঙ্গিস ভাই সেখানে রাজনীতির পাশাপাশি নিজে খ্যাত খামার করেছেন, কৃষকের কাজ করেছেন।
অন্যের দোকানে কর্মচারী ছিলেন।
মাত্র ৩০ হাজার টাকার শাকসবজি বিক্রি করার জন্য রাজধানী অটোয়া থেকে মন্ট্রিয়ালে এসে দোকানে দোকানে খামারে উৎপাদিত শাকসবজি বিক্রি করতেন”!
শামীম ভাই আমেরিকাতে পেট্রোল পাম্পে কাজ করার সময় খদ্দেরের গাড়িতে পেট্রোল ভরে দিতেন এখানে লজ্জার কি আছে?
এইতো মাত্র কিছুদিন আগে হাজার হাজার লোকের সামনে শামীম ওসমান ঢাকা শহরে হ্যান্ড মাইক নিয়ে স্লোগান ধরেছিল এটা কি শরম বা লজ্জার কথা?
শামীম ওসমান যদি এত বড় নেতা হয়ে হ্যান্ডমাইক হাতে নিয়ে ঢাকা শহরের মতো স্থানে স্লোগান ধরতে পারে, তাহলে আমি তৃণমূলের কর্মী হয়ে মানুষের দুয়ারে গিয়ে হ্যান্ডমাইক দিয়ে ভোট চাইলে লজ্জা লাগবে কেন?
ক্যাম্পিংয়ের পাশাপাশি মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার একটা উদ্দেশ্য আছে যেটা আমি বর্তমানে ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে বার্তা হিসেবে পরিবেশন করতে চাই।
এর পাশাপাশি সমালোচকদের না বলে পারছিনা, আমি যখন ভোট চাইতেছিলাম সেই মুহূর্তে আমি বিরোধী দলের কর্মীদেরও চোখে দেখেছি আমি নিরাশ হওয়ার নয়, তারা-ও যে ভোট দিবে তাদের আচরণে বুঝা যায়!
মনে রাখবেন রাজনীতিতে শেষ বলতে কোন কথা নেই, রাজনীতির কোনো নীতি নেই, যেখানে নীতি শেষ, সেখান থেকে আপনাকে নতুন নীতি শুরু করতে হবে।
মানুষ মরে যায় রাজনীতি শেষ হয়ে যায় না।
পৃথিবী আর রাজনীতি আপন গতিতে চলমান থাকে, একে রুখতে গেলে কখনোই রুখা যায় না, বরং তেজস্ক্রিয়তায় পরিণত হয়।
রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে কেউ আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করবে না যে পর্যন্ত আপনি নিজে, নিজেকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে সেই দিকে ধাবিত না হবেন!
মনে রাখবেন শরম লজ্জা হীন জীবন আপনাকে রাজনীতির উন্নয়নের শিখরে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে!!
শরম লজ্জা থাকা ভালো তবে সেটা একমাত্র মেয়েদের জন্য!
ফেইসবুক বন্ধুরা আমাকে ভালোবাসায় রেখেছেন বলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আওয়ামী লীগের বা শামীম ভাইয়ের যে কোন পোষ্টে আমার থেকে বাহবা কেউ বেশি অর্জন করতে পারেন বলে আমার মনে হয় না!
রাজনৈতিক ভাবে সব দলের বন্ধু বান্ধব এবং হিতাকাঙ্খীদের জন্য সমাজে আমি গুলু মেম্বার নামে পরিচিত! ছোট-বড় অনেকেই আমাকে অনুসরণ করে সমাজে তুলে ধরেছেন বলে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব বলে তারা এখনো আশা ছাড়েননি সেই জন্য আমি পুনরায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি!
আর হ্যাঁ জেনে খুশি হবেন আমার লজ্জা হীনতার কারণে, লজ্জা নাই বলে যারা আড়ালে আবডালে হেসে মজা পায় তাদের জেলাসিতে আমি অনেক খুশি !!