সিলেট বিভাগ
যথাযোগ্য মর্যাদায় কমলগঞ্জ ৫২তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
যথাযোগ্য মর্যাদায় ও নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৫২তম মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সুচনা করা হয়। পরে শহীদ মিনারে পুস্প স্তবক অর্পণ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ রফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ জুয়েল আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম,
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার সকল বধ্যভূমি/স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কামুদপুর শহীদ মুক্তিযুদ্ধাদের মাজার জিয়ারত করা হয়। সকাল ৮ টায় বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহী হামিদুর রহমান-এর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল ৯টায় তিলকপুর মাঠে আষ্ঠানিকভাবে জাতীয পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও ছাত্র-ছাত্রীদের ক্রীড়ানুষ্ঠানের বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সকাল ১১টায় মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান।
দুপুর ২ টায় কমলগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং “জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য শীর্ষক” আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি আছলম ইকবাল মিলন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, কমলগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল আলম, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মুনিম তরফদার প্রমুখ।
এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বাদ যোহর মজজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির জন্য আলোচনা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত/বার মুক্তিযোদ্ধা/ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা, হাসপাতাল ও এটিমখানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন, প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ও বিভিন্ন হাটবাজারে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন, সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আলোক সজ্জা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে।