জাতীয়সিলেট বিভাগ
সিলেটে জ্বালানি তেলের সন্ধান, দৈনিক ৬০০ ব্যারেল তেল মিলবে

সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে (অনুসন্ধান কূপ) গ্যাসের পাশাপাশি জ্বালানি তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এখান থেকে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল হারে তেল পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এসময় বিজয়ের মাসে এটা সবার জন্য ‘বিরাট সুখবর’ বলেও উল্লেখ করে তিনি। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সিলেট তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের পাশে গোয়াইনঘাট উপজেলার আলীরগাও ইউনিয়নের বাঘের সড়ক এলাকায় অবস্থিত এই অনুসন্ধান কূপে দুই মাস আগে খনন কাজ শুরু করে সরকারি প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড কোম্পানি। গত ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কূপটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
গ্যাস ছাড়াও উপরের দিকে ১ হাজার ৩৯৭ থেকে ১ হাজার ৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোন পাওয়া গেছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেখানে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) পরীক্ষা করে তেলের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যার প্রাথমিকভাবে এপিআই গ্রাভিটি ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি। সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যাচ্ছে। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে মোট তেলের মজুদ জানা যাবে।
এর আগে ১৯৮৬ সালে হরিপুরে তেলের অস্থিত্ব পাওয়া গিয়েছিল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেই কূপটির স্থায়িত্ব ছিল পাঁচ বছর। সেখানে গ্রাভিটি পাওয়া গিয়েছিল এপিআই গ্রাভিটি ২৭ ডিগ্রি। এবার যে তেলের মজুত পাওয়া যাচ্ছে। সেই তেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। এর এপিআই গ্রাভিটি ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি।’
প্রথম দিনে দুই ঘণ্টায় ৭০ ব্যারেলের মতো তেল উত্তোলন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তেল উত্তোলন আমরা আপাতত বন্ধ রেখেছি। এটা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে, মোট মজুদের পরিমাণটা আমরা জানতে পারবো। পুরো বিষয়টির বিস্তারিত জানতে আরও চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগবে।’
এই কূপে গ্যাস ও তেলের স্তর ভিন্ন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে একটি ভালো দিক হলো গ্যাস ও তেলের স্তর ভিন্ন। আগে আমরা গ্যাসের সঙ্গে কিছুটা তেল আসতো। যেটা আমরা কনডেসার হিসেবে ব্যবহার করতাম। এখন তেলটা ভিন্ন স্তর হওয়ায় সেটা আরও ভালো হবে।’