নারায়ণগঞ্জরাজনীতি
যুবলীগ নেতার চাঁদাবাজী মামলায় জামিন পেলেন কাশীপুর ইউপি সদস্য পলাশ

নিজস্ব সংবাদদাতা: যুবলীগ নেতার দায়েরকৃত চাঁদাবাজী মামলায় জামিন পেয়েছেন কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মেজবাউর রহমান পলাশ।
গত বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ওই মামলায় পলাশ ছাড়াও চীফ জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালত থেকে আরও ৩ জন জামিন পেয়েছেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মুহাম্মদ মহসীন মিয়া জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে আদালতে (সিআর-৮৮৭/২২) মামলা করেন কাশীপুর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রনি। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দেয়।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ-পরিদর্শক মোশারফ মামুন কয়েকজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে আদালত কাশীপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মেজবাউর রহমান পলাশ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাহা, ঝুট ব্যবসায়ী মাসুম ওরফে কাইল্লা মাসুম, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রতন দেওয়ান’র বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারী করে।
এর আগে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবীর প্রায় একই অভিযোগ এনে চলতি বছরের গত ১৪ ফেব্রুয়ারী ফতুল্লা থানায় আরও একটি মামলা ৪২(০২)২২ করেন কাশীপুর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রনি। ওই মামলায় পলাশকে এক নম্বর আসামী করা হয়। মামলায় অন্য আসামীরা হচ্ছেন- মাসুম, রতন দেওয়ান, সাহাবুদ্দিন, রানা সিকদার, আয়নাল হক, জিতু সরদার, সাইফুল ইসলাম ও রুবেল। মামলায় আরও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
মামলার আসামী সাহাবুদ্দিন কাশীপুর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রতন একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের গত ১০ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টায় বাদী রনি তার সঙ্গী আরিফ ইকবাল, জামিল, সিমরান ও বাসেদ আলীকে নিয়ে ক্রোনী এ্যাপারেলস’র ঝুট নামাতে যাবার সময় সকল বিবাদী বাদীর পথ রোধ করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে এই এলাকায় ব্যবসা করতে পারবি না বলে শাসায়। বাদী চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বিবাদীরা লাঠি, হকিস্টিক, রড নিয়ে আমাকে মারতে এগিয়ে আসে। ‘আমি ভয়ে দৌড় দিয়ে পালিয়ে আসি। পরবর্তীতে তারা আমাকে মেরে ফেলে লাশ গুম করার হুমকিও দেয়।’
পরবর্তীতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী ক্রোনী এ্যাপারেলস’র ঝুট নামানোর সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কাশীপুর হাঁটখোলা এলাকা থেকে মাসুম, জিতু সরদার ও রানা সিকদারকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তারা জামিনে বেরিয়ে আসেন।
তবে মামলা দুটি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য করা হয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে।