বন্দরে চালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মিশুক গাড়ী ছিনতাইয়ের ঘটনায় অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে আহত মিশুক চালক জাফর বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা ৪ ছিনতাইকারি বিরুদ্ধে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ২৭(১০)২৩ ধারা- ৩৯৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় পুলিশ জাবেদ (২২) ও সাজ্জাদ (২১) নামে দুই ছিনতাইকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারিরা হলো বন্দর থানার ২৬নং ওয়ার্ডের রামনগর এলাকার সামু ডাকাতের ছেলে চিহিৃত ছিনতাইকারি জাবেদ (২২) ও একই এলাকার আব্দুল করিম মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ (২১)।
এর আগে গত রোববার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় বন্দর থানার ঢাকেশ্বরী এলাকায় মিশুক ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। মামলার তথ্য সূত্রে জানাগেছে, বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাগবাড়ী এলাকার মোখলেসুর রহমান মিয়ার ছেলে জাফর মিয়া জীবিকার তাগিদে একটি অটো মিশুক গাড়ী ক্রয় করে দীর্ঘ দিন সে নিজে চালিয়ে আসছিল। প্রতিদিনের ন্যায় গত রোববার রাত ৮টায় মিশুক চালক জাফর মিয়া মিশুক নিয়ে রাস্তায় বের হয়। পরে মিশুক চালক ওই রাত ১১টায় সময় যাত্রী নেওয়ার জন্য বন্দর ১নং খেয়াঘাটে অবস্থানকালে অজ্ঞাত নামা ২ জন ছিনতাইকারি যাত্রী সেজে ১০০ টাকা ভাড়া ঠিক করে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইস্পাহানী বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মিশুক গাড়ীতে উঠে। ওই সময় মিশুক গাড়ীটি বন্দর থানার ঢাকেরশ^রী মেইনরোড সামনে আসলে মিশুক গাড়ীতে থাকা যাত্রীবেশী ২ ছিনতাইকারি মিশুক গাড়ী থেকে নেমে মিশুক চালকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ডান হাতের আঙ্গুল কাটা জখম করে গাড়ী থেকে ফেলে দিয়ে। অজ্ঞাত নামা ৪ ছিনতাইকারি মিশুক গাড়ীটি ছিনতাই করে মদনপুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আহত চালকের ডাক চিৎকারের শব্দ পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আহত মিশুক চালককে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে ।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা ২ ছিনতাইকারিকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করলে আরো ২ অজ্ঞাত ছিনতাইকারি অটো মিশুকটি নিয়ে পালিয়ে যায়।