ফতুল্লা
ফতুল্লায় শাহ্ সিমেন্টের গাড়ি চাপায় ২জন নিহতের ঘটনায় বিচার দাবিতে মানববন্ধন
ফতুল্লার বিসিক এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত সালাউদ্দিন ও মেহেদী নিহতের ঘটনার বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের স্বজনসহ ফতুল্লার সর্বস্তরের জনগণ।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফতুল্লা থানা গেইটের সামনে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। নিহত সালাউদ্দিনের পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বড় ভাই আলাউদ্দিন, মা মালেকা খাতুন, বোন মরিয়ম সহ অন্যান্য সদস্যরা।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা থানা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হাওলাদার, জাতীয় শ্রমিক লীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, ফতুল্লা থানা কমিটির সহ সভাপতি মো. আব্দুল জব্বার,মো: আনোয়ার হোসেন,দপ্তর সম্পাদক আনোয়ারুল কবির, সদস্য শিশির খান, বাল্কহেড ট্রলার নৌপরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মাস্টার, দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বয়াতি প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন- এ যাবতকালে শাহ্ সিমেন্টের অদক্ষ এবং লাইসেন্স বিহীন চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে সাংবাদিক সহ প্রায় ২ ডজন মানুষকে হত্যা করা হয়। দীর্ঘদিন এমন অবস্থা চলে এলেও শাহ্ সিমেন্ট কতৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যথা নেই। দীর্ঘ প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হলেও নিহত পরিবারের সদস্যদের কোন খোঁজ খবর না নিয়ে তারা তাদের আটককৃত গাড়ি ছাড়িয়ে নেওয়ার পায়তারা করছে বলে তারা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা শাহ্ সিমেন্ট কর্তৃপক্ষকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ না দিলে ফতুল্লা সড়কে শাহ সিমেন্টের সকল প্রকার গাড়ি চলাচল বন্ধের আল্টিমেটাম দেন।
উল্লেখ্য যে, ১ সেপ্টেম্বর ফতুল্লার বিসিক এলাকায় সিমেন্ট বোঝাই কাভার্ডভ্যান চাপায় মিশুক চালক সালাউদ্দিন (২২) ও তার শ্যালক মেহেদী (৮) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো নিহত সালাউদ্দিনের শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি ও স্ত্রী। এঘটনায় পুলিশ কভার্ড ভ্যানটি আটক করতে সক্ষম হলেও পালিয়ে যায় চালক ও হেলপার। এ ঘটনার একদিন পর ২ সেপ্টেম্বর নিহত সালাউদ্দিনের ভাই বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।