সিদ্ধিরগঞ্জ
কাউন্সিলরের নামে সহযোগীদের চাঁদা আদায়ের অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের নামে তার সহযোগীদের অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। তবে কাউন্সিলরের দাবি তিনি এসবের কিছুই জানেন না।
সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পুল থেকে আ: আলীরপুল পর্যন্ত কয়েকশো ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও মিশুক চলাচল করে। দীর্ঘদিন যাবত এ সড়ক দিয়ে কোনো চাঁদা উত্তোলন না হলেও গত কয়েকদিন ধরে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করছে কাউন্সিলরের কয়েকজন সহযোগী। তাদের প্রাকাশ্যে টাকা উত্তোলনে এলাকা জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
জানা যায়, মিজমিজি পাগলাবাড়ি এলাকার জামায়াতে ইসলামী নেতা সামাদ মুন্সির ছেলে আবু সুফিন, মজিববাগ এলাকার সাদু মিয়ার ছেলে ইমরান, মাদক কারবারি সবুজ ওরফে জামাই সবুজ এবং রাকিব প্রতিটি অটোরিকশা থেকে ৩০ টাকা করে উত্তোলন করে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক অটো চালক বলেন, আগে টাকা দেয়া লাগতো না আমাদের। কিন্তু বেশকিছু দিন ধরে ইমরান ভাই ৩০ টাকা করে নিয়ে যায়। যদি টাকা না দেই তাহলে গাড়ি চালাতে দিবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সে।
আব্দুর রহমান নামের এক চালক বলেন, আমি অল্প কয়দিন যাবত এ রোডে গাড়ি চালাই। তবে যখন থেকে এখানে আসছি, দেখেছি সবাই টাকা দেয়। তাই আমিও টাকা দেই। যদি টাকা না দেই তাহলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে তারা।
সিদ্ধিরগঞ্জ পুলস্থ এক দোকানি জানান, এখানে অটোরিকশার কারণে যানযট লেগে থাকে। তাই শুনেছি কাউন্সিলরের উদ্যোগে লোক নিয়োগ করা হয়েছে। তবে যে টাকা নেয় সেটি নাকি লাইনম্যানরা মিলেমিশে নিয়ে যায় আমরা তা শুনেছি।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ পুলে অটোর কারণে মানুষজন চলাফেরা করতে পারে না। সন্ধায় যখন গার্মেন্টস ছুটি হয় তখন মানুষ হাটার মতো জায়গাও থাকে না। তাই জনগনকে ভোগান্তি থেকে রক্ষা করতে আমরা কয়েকজন লোক নিয়োগ দিয়েছি যানযট মুক্ত রাখার জন্য। তবে এখানে চাঁদা কেউ উঠায় না। এটা মিথ্যা কথা। আমার নামে যদি কেউ টাকা উত্তোলন করে থাকে তাদের নাম-পরিচয়সহ আমাকে জানালে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।