ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের হার কিছুটা বাড়লেও রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর চাপ থাকলেও রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেড ফাঁকা আছে। এছাড়া অন্যান্য প্রায় সব হাসপাতালেই শয্যা ফাঁকা রয়েছে। বিভাগীয় পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে আক্রান্তের দিক থেকে ঢাকার পরেই চট্টগ্রামের অবস্থান।
অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার মোটামুটি স্থিতিশীল, তবে ঢাকার বাইরে আক্রান্তের হার বাড়ছে। রাজধানীতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ৪৮৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ হাসপাতালে রোগীদের জন্য মোট শয্যা রয়েছে ৬০০টি।
তিনি বলেন, রাজধানীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি (৩৪৮ জন) রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়া অন্যান্য প্রায় সব হাসপাতালেই শয্যা ফাঁকা রয়েছে। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেগুলোতে অতিরিক্ত শয্যার ব্যবস্থাও রয়েছে।
ডা. শাহাদাত বলেন, কয়েকটি এলাকায় এখনো ডেঙ্গু সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যে অন্যতম হলো- যাত্রাবাড়ী, মুগদা, উত্তরা, জুরাইন ও মিরপুর। এসব এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী যাত্রাবাড়ী এলাকায়। বিভাগীয় পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, আক্রান্তের দিক থেকে ঢাকার পরেই চট্টগ্রামের অবস্থান।
অধ্যাপক শাহাদাত বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে এখনো পর্যন্ত এ বছর ২৬১ জন মারা গেছেন, যদিও একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য না। তাদের প্রায় প্রত্যেকেই হাসপাতালে ভর্তির দুই দিনের মধ্যেই মারা গিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগ ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম, যাদের প্লাজমা লিকেজ হয়েছে। এছাড়া শক সিন্ড্রোমের কারণে তাদের দেহের অন্যান্য অর্গানও আক্রান্ত হয়েছিল।
