নারায়ণগঞ্জ
না’গঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে কারা থাকছেন মহানগর কমিটিতে?
নিজস্ব সংবাদদাতা: আর কিছুদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদ নিয়ে কোন আলোচনা না হলেও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার যেন শেষ নেই। কারণ এ পদটিতে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন, সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মারুফুল ইসলাম মহসীন (সানি-সুজন কমিটির) ও জেলা যুবলীগের তথ্য এবং গবেষণা সাধারণ সম্পাদক তাহের উদ্দিন আহমেদ সানি’র নাম শোনা গেছে। তবে যোগ্যতার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে সানী।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে আছেন সাবেক কমিটির সভাপতি জুয়েল হোসেন ও কায়কোবাদ রুবেল। যিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন’র ভাগিনা। রাজনৈতিক অঙ্গনে তার তেমন কোন পরিচয় নেই। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন’র ভাগিনা বলেই তিনি রাজনৈতিক মহলে পরিচিত।
এদিকে সানী জেলা যুবলীগের তথ্য ও গবেষণায় সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন থাকলেও জেলা যুবলীগের কমিটির বহুবছর যাবৎ নিষ্ক্রিয় থাকায় কাগজে কলমে পদ থাকলেও তাকে রাজনীতির মাঠে তেমন একটা দেখা যায়নি। মূলত তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি. এম. আরাফাত’র অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
অপরদিকে দুলাল এমপি শামীম ওসমান’র আস্থাভাজন ও ওসমান পরিবারের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। রাজপথে সক্রিয় থাকলেও দুলাল প্রধান মাদক ব্যবসা সহ নানা অপরাধে জড়িয়ে ইতিমধ্যেই বেশ বিতর্কিত হয়েছেন। তাছাড়া সাবেক কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে থাকলেও সাংগঠনিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন পুরোপুরি।
অপরদিকে, মারুফুল ইসলাম মহসীনও ওসমান পরিবারের আস্থাভাজন এবং ক্লীন ইমেজের রাজনীতিবিদ। সব ধরনের বিতর্কের ঊর্দ্ধে তিনি ওসমান পরিবারের রাজনীতি করে আসছেন। ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করা মহসীন ২০০৩ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য পদে ছিলেন। এরপর নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের স্বর্ণযুগ অর্থাৎ ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে। এই দীর্ঘ সময় যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তখন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার পরেও মহসীন কোন ধরনের বিতর্কে জড়াননি। শুধু তাই নয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে যখন এমপি শামীম ওসমান কানাডা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতিটি এলাকায় সমাবেশে বক্তব্য দিতেন, সেই সময় বিএনপি জামাতের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সর্বপ্রথম নাসিক ১৪নং ওয়ার্ডে জনসভার আয়োজন করেন মারুফুল ইসলাম মহসীন। সেই সমাবেশে দীর্ঘ ৪০ মিনিট মোবাইলে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন বর্তমান এমপি শামীম ওসমান।
আগামীতে আন্দোলন সংগ্রামে দলীয় কর্মকান্ডে কোনরকম বিতর্কিত ব্যক্তি যেন স্থান না পায় সে ব্যাপারে কঠোর নির্দেশ আরোপ করা হয়েছে দলের নেতা-কর্মীদের উপর। দেখার বিষয় হচ্ছে, আওয়ামী লীগের জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জ জেলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির মহানগর শাখায় কারা আসছেন মূল দায়িত্বে।