রূপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাগবের, কেয়ারিয়া ও গুতিয়াবো মৌজার ৩ শতাধিক বিঘা কৃষকের জমির মধ্যে শতাধিক বিঘা জমি না কিনেই ফরটিস নামক আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় দিন দিন কৃষকদের তিন ফসলি জমি তারা দখলে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের প্রভাব দেখিয়ে, গ্রেফতারের ভয়ভীতি ও মামলার হুমকি দিয়ে জমির মালিকদের জিম্মি করা হচ্ছে।
আমাদের বাড়ির চারপাশ বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে। কোম্পানির ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আমাদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা এর একটা সঠিক বিচার চাই।
বাগবেরের কৃষক রফিক উদ্দিন বলেন, ১০-১২ বছর পূর্বে এই ফরটিস কোম্পানি আমাদের এলাকার কৃষি জমি ক্রয় করা শুরু করে। জমির পুরো টাকা না দিয়ে তারা জমিতে বালু ভরাট করে দখল করে নিয়ে গেছে। অনেকের জমি না কিনেও বালু ভরাট করে দখলে নিয়ে যাচ্ছে।
বাগবের গ্রামের মৌন্তাছির রহমান রমজান আলী বলেন, সিএস, এসএ ও আরএস পর্চায় বাব-দাদার রেকর্ডীয় নাম থাকা স্বত্বেও তিন ফসলি আমাদের চার বিঘা কৃষি জমি ফরটিস আবাসন প্রকল্প বালু ভরাট করে জোরপুর্বক দখল করার চেষ্টা করছে। আমি এ অবৈধ জবরদখলের প্রতিকার চাই।
শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর বলেন, আমাদের জমি জোরপূর্বক দখল করে নিচ্ছে এ ফরটিস কোম্পানি। আমি এতে বাধা দিলে এ কোম্পানি বিনা অপরাধে আমার নামে মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করেছেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও রূপগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মশিউর রহমান তারেক বলেন, সামনে সংসদ নির্বাচন ।
আগামী নির্বাচনে বর্তমান সরকারের ভাব-মুর্তি ক্ষুন্ন করতেই পুলিশের ও আবাসন প্রকল্পের একটি চক্র জমি না কিনেই কৃষকদের জমি জবরদখল করে ভরাট করছে।
কোনো ক্রমেই আবাসন প্রকল্পের অবৈধ কর্মকান্ড করতে দেওয়া হবে না। প্রশাসনের সহযোগীতায় কৃষকদের জমি তাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হোক।