সিদ্ধিরগঞ্জ

সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা দেয়ার অভিযোগ

সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৬নং ওয়ার্ডে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করতে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের অভিযোগ উঠেছে মো: শাহীন (২৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শাহীন ওরফে গাঞ্জু শাহীন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ও নাসিক ৬নং ওয়ার্ড এলাকায় সাদ্দাম হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। শাহীনের মিথ্যা অভিযোগে মামলায় হয়রানির স্বীকার জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শাখার সভাপতি, দৈনিক বাংলাদেশের আলো নারায়ণগঞ্জ জেলার ব্যুরো প্রধান ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতীলীগের সহ-সভাপতি  আব্দুল হান্নান প্রধান সহ অন্যান্য ভুক্তভোগীগণ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আব্দুল হান্নান প্রধান তিনি সহ তাঁর অফিসের কর্মকর্তা ও বন্ধু-বান্ধবদের বিরুদ্ধে
মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ প্রত্যাহারসহ শাহীন ও সাদ্দাম হোসেনের হয়রানি থেকে রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) হান্নান প্রধান তার অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, আমি বরাবরই সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।শাহিনের সাথে আমার ছোট ভাই মান্নানের একটি ঝামেলা হয়েছে এটা সত্য। এ ঘটনায় থানায় প্রথমে একটি অভিযোগ হয়েছে। থানায় অভিযোগ থেকে জানতে পারি মুনলাইট এলাকায় সাদ্দাম হোসেন নামে একজন লোকের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তার ইঙ্গিতে গাঞ্জু শাহীন নামের একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী আমি ও আমার ভাই সহ আমার অফিসের লোকজন ও বন্ধু-বান্ধবদের নাম জড়িয়ে থানায় অভিযোগ করেছে। পুলিশ কোনরকম তদন্ত ছাড়াই এটিকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক স্বাধীন দেশে এটা কেন করা হবে? ঝামেলা আমার ভাইয়ের সাথে হয়েছে শুনেছি। পুলিশ এ বিষয়ে সত্যতা পেলে আমার ভাইয়ের নামে মামলা হবে। কিন্তু আমি সহ আমার লোকজনের নামে কেনো? আমি বা আমার লোকজন তো কোনোভাবে ঘটনার সাথে জড়িত ছিলাম না। আমি নিজে একজন সাংবাদিক। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ তাঁতী লীগের রাজনীতি করি পাশাপাশি একজন ব্যবসায়ী। রাজনীতিতে যুক্ত থাকার ফলে এলাকাতে প্রতিপক্ষ থাকবেই। যাদের কাজই হচ্ছে সবসময় মিথ্যা মামলায় অভিযোগ দিয়ে ঘায়েল করার। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত এসব অভিযোগ পেলে সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে মামলা নেয়া কিন্তু এ মিথ্যা মামলার অভিযোগের ঘটনায় তা করা হয়নি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে বলবো আমি পরিবার নিয়ে শান্তিতে থাকতে চাই। আমি মিথ্যা মামলার হয়রানি বন্ধ চাই।সুষ্ঠুভাবে এ মামলা তদন্ত করে মিথ্যে অভিযোগ থেকে আমিসহ সকলকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে শাহীনের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয় মান্নান প্রধানের সাথে।এ বিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটি হলে মসজিদের ছাদে গিয়ে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মসজিদের ছাদে গিয়ে নিজের হাতে চাকু দিয়ে পোচ মেরে এবং মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়ে থানায় গিয়ে মিথ্যে অভিযোগ করে। শাহীন ওরফে গাঞ্জু শাহীন এলাকায় একজন মাদক ব্যবসায়ী ও চোর হিসেবে পরিচিত। সে মাদকসহ বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতেও গ্রেপ্তার হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close