জেলা/উপজেলারাজনীতিসারাদেশ
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ট্রাংকলরী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার: বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ট্রাংকলরী শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি হাজী শাহজাহান ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বিনয়ের সাথে সরকার ও সরকারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছেন। মানবিক সহায়তা সহ লকডাউনের মধ্যে চলাচলে শ্রমিকদের ইউনিয়নের পরিচয়পত্রের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানী পরিবহনে সহায়তার অনুরোধ করেন এবং করোনা ভাইরাসের টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শ্রমিকদের দেয়ার জোর দাবি জানান। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ ট্রাংকলরী শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিশ্বের চলমান মহামারীর প্রেক্ষিতে নভেল করোনা ভাইরাসের তান্ডব ভারতের পর আজ বাংলাদেশে ৩য় ওয়েভে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে মহাবিপদে রুপ নিয়েছে। যা আবহাওয়া সিগন্যালের মহাবিপদ সংকেতকেও হার মানিয়েছে। গতবছর থেকে চলে আসা মহামারীর ধংসলীলায় অনেক জীবন, সম্পদ,সম্মান স্বজন ইত্যাদি হারিয়েছে পৃথিবী।দেউলিয়াত্ব বরন করেছে কত প্রতিষ্ঠান। এ যেন প্রকৃতির এক অচেনা রুদ্র রুপ।এখানে সবাই যেন সত্যিই অসহায়। সবাই আমরা যুদ্দ্ব করছি অচেনা শক্রর বিরুদ্দ্বে। হাতে সম্বল শুধুই সামান্য মেডিসিন ও টীকা নিয়ে। তাতেও রয়েছে অনেক বিতর্ক। সভ্যতার এ মহাবিশ্বে মানবের জয় হয়েছে বার বার। তাইতো আজো এত সুন্দর এ ধরনী। এ জন্যই কবি বলেছেন,মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে,মানবের মাঝে আমি বাচিবারে চাই।কিন্ত,বাস্তবতা জীবন আজ আমাবস্যার অন্ধকারে।অনিশ্চিত বেচে থাকার আশা। প্রত্যাশা,একদিন সকল আধার কেটে আলো আসবেই। সে আলোয় গাইবো নব জীবনের গান। জয় হোক,মানুষের জয়।হোক,বিধাতার সহায়।
তবে এখানে বলতে চাই,আধুনিক কল্যানকর রাস্ট্র ব্যবস্থায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জাতীয় উৎপাদন ব্যবস্থার সামনের সারির যোদ্ধা হিসেবে জ্বালানী তেল পরিবহনের সকল শ্রমিক ভাইয়েরা তাদের জীবনের ওপর মারত্বক ঝুঁকি নিয়ে গত এক বছরের অধিক সময় ধরে এবং এখনও মানুষের কাছে জ্বালানী তেল পৌছে দিচ্ছে।উৎপাদনের চাকা সচল রাখা এ শ্রমিকদের নাই কোন সুরক্ষা সামগ্রী, অনুদান বা মৃত্যুঝুকি ভাতা। নাই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি। কোন সহযোগীতা করা হয়নি তাদেরকে, বার বার সরকারের কাছে আবেদন করার পরও কোন সাহায্য পায়নি ট্যাংক লরী শ্রমিকরা।নামেই তারা অতি জরুরী সার্ভিসের সেবক।কিছুই করা হয়নি তাদের জন্য।তামাশা করা হয়েছে তাদের নিয়ে।
শুধু তাই নয়,সাহায্য বঞ্চিত রয়েছে সমগ্র পরিবহন শ্রমিক সমাজ। সবাই অনুদান পায় অথচ অবহেলিত থাকে দুর্দিনের সহযোগী পরিবহন শ্রমিকরা। তাদের সাথেও করা হয়েছে অন্যায় ও বৈষস্য।তাই, সরকারের কাছে আবেদন জানাতে চাই,অভুক্ত পরিবহন শ্রমিকদের জন্য মানবিক সাহায্য ও নিয়ম মেনে কাজ করার অনুমতি দিন ।
বিশেষ করে জাতীর সম্মুক্ষ যোদ্দ্বা হিসেবে ট্যাংকলরী শ্রমিক ও তেল ডিপোর শ্রমিকদেরকে স্থানীয় তেলের ডিপোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টীকা, সরকারী অনুদান ও মৃতুঝুঁকি ভাতা বরাদ্দ দেয়ার দাবী জানাই। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বি,আর,টি,এ এবং বি,পি,সিসহ তেল বিপননের সকল কোম্পানির কাছে সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি।আশা করি আমাদের এ মানবিক আবেদনটুকুতে যার যার অবস্থান থেকে সাড়া দিবেন। গুরুত্বপূর্ণ এই বক্তব্য বাস্তবায়নে সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে বাংলাদেশ ট্যাংক লরী শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাজী শাহজাহান ভূঁইয়া। সংগঠনের পক্ষ থেকে সকলকে সচেতনতা বৃদ্ধি সহ মাস্ক ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়ে সকলকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়।