নারায়ণগঞ্জ
উর্ধ্বমূখী বাজারে নাগালের বাইরে দ্রব্যমূল্য, নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার
নারায়ণগঞ্জের বাজারে প্রায় সব পণ্যই এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। মাছ, মাংস ও সবজির বাজার দিন দিন আরও চড়া হচ্ছে। বিশেষ করে সবজির দাম অনেকটা আকাশ ছোঁয়া। গত সপ্তাহের তুলনায় এসপ্তাহে বাজারে দাম বেড়ে প্রতি কেজি পটল ৭০ টাকায়, মূলা ৬০ টাকা আর গোল বেগুন ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে সেঞ্চুরি পার করা সবজি গুলো হচ্ছে, কাকরল, বরবটি, কচুরমুখি।
গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির বাজারে দাম কমার তালিকায় আছে, প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়ার শসা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি কাঁচা আম ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়।
শুক্রবার (২৬ মে) সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান কাঁচাবাজার দিগুবাবুর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি শশা ৪০ টাকা, লেবুর হালি ২০ টাকা। লাউ প্রতি পিস ৬০-৮০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি। ধনিয়াতাপাতা ৪০০ টাকা কেজি। ৩৫ টাকা কেজির আলু দাম বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দাম বেড়ে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসপ্তাহে সবজির বাজারে প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া সবজি গুলো হচ্ছে ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা ও চালকুমড়া। আর প্রতি কেজি ৮০ টাকার মূল্যের সবজিগুলো হচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, পটল, উস্তা, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙে, বেগুন। প্রতিকেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হওয়া সবজি গুলো হচ্ছে কাকরল, বরবটি, কচুরমুখি।
দিগুবাবুর বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. জাহাঙ্গীর বলেন, বাজারে সব জিনিসের দামই বেশি। আগে পটল ৬০ টাকা করে বিক্রি করতাম এই সপ্তাহে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি করছে। গত সপ্তাহের মূলা বিক্রি করেছি ৫০ টাকায়। এ সপ্তাহের ১০ টাকা বেড়ে মূলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা বিক্রি করছি। গত সপ্তাহে গোল বেগুন ৬০ টাকায় বিক্রি করেছি , এ সপ্তাহে ৭০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
৯০ টাকার মধ্যে বরবটি ও করলা কিনেছেন গৃহিণী শাহানারা খাতুন। জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় তিনি চরম বিরক্ত। গৃহিণী শাহানারা খাতুন বলেন, তরকারির দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এখন বাজারে ৬০-৭০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। আগে সবজির দাম এর থেকে কম ছিল।
এখন সিজন, নন সিজন বলে কোন কথা নেই, সব কিছুরই দাম বাড়তি। আমাদের মতো যারা চাকরি করেন তাদের তো বেতন বাড়েনি।
জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে সে তুলনায় আমাদের আয় বাড়েনি। বর্তমানে যারা মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত তাদেরই সমস্যা বেশি। উচ্চবিত্ত যারা আছেন তাদের তো কোনো সমস্যা নেই। কারণ তাদের আয় প্রতিনিয়তই বাড়ছে।