অপরাধনারায়ণগঞ্জসিদ্ধিরগঞ্জ
আদমজী ইপিজেডে ব্যবসায়ীর ওপর হামলার ঘটনায় আরেকটি মামলায় আসামি ৩

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেয়াকে কেন্দ্র করে এক ব্যবসায়ীর ম্যানেজারের ওপর কয়েকজন কাউন্সিলরের অনুসারীদের দফায় দফায় হামলার ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে আকরাম (২৫) নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের গ্যাসলাইন পাগলাবাড়ি এলাকার লাল মাহমুদের ছেলে বিএনপি নেতা লোহাচোর আকরাম এর সহযোগী লিমন (৩৫) কে প্রধান আসামি এবং আরও নাসিক কাউন্সিলর বাদলের সহযোগী হিসেবে পরিচিত কদমতলী গ্যাস লাইন এলাকার সাত্তার মোল্লার ছেলে সুমন মাহমুদ (৩৮), কদমতলী পুকুর পাড় এলাকার ইউসুফের ছেলে সজীব (২৮) কে আসামি করে মামলা করা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলা নং -৪০। মামলা সূত্রে জানা গেছে , নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) ৬নং ওয়ার্ড শিমুল পাড়া বিহারী ক্যাম্প এলাকার মৃত সেলিম রেজার ছেলে আকরাম (২৫) আদমজী ইপিজেডের চেক পয়েন্ট গার্মেন্টস এর লেভার সাপ্লায়ার আকতার হোসেনের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োজিত। মামলার বিবাদীদের সঙ্গে পূর্ব হতে ব্যবসায়ীক বিরোধ চলছিল তার। পরবর্তীতে ২৫ জানুয়ারি দুপুর তিনটার দিকে বাদী গার্মেন্টস হতে বের হয়ে চেক পয়েন্টের উত্তর পাশের ৪০ গজ দূরে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে আসামীরা পথরোধ করে সুইচ গিয়ার, লোহার রড, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদী আকরামের উপর হামলা চালায়।একপর্যায়ে মামলার ১নং আসামী লিমন বাদী আকরাম কে হত্যার উদ্দেশ্যে সুইচ গিয়ার দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করে।পরে তার ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন উপস্থিত হতে থাকিলে আসামিরা বিবাদীকে সুযোগ মতো পেলে খুন করার হুমকি দিয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে মুঠোফোনে আকরাম জানান, আদমজী ইপিজেড এর চেক পয়েন্ট সিস্টেম বিডি লিমিটেড কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন সাপ্লায়ার হিসেবে ব্যবসা করছে। আমি তার ম্যানেজার। আমাদেরকে এটাতে আর ব্যবসা না করার জন্য হুমকি দিয়ে অতর্কিতভাবে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে আমার উপরে লিমন, সুমন, সজীব সহ অজ্ঞাত কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে হামলা করে ও ব্যবসাটি ছেড়ে দিতে বলে হুমকি ধামকি দেয়। মাথায় আঘাত করলে আহত অবস্থায় আমার চিৎকার শুনে আমাকে বাঁচাতে লোকজন দৌড়ে আসলে তারা সুযোগ পেলে খুন করে ফেলার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে হামলায় গুরুতর আহত হয়ে বাদী আকরাম যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিল এ সুযোগে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে উল্টো চেক পয়েন্ট এর ব্যবসায়ী আকতার হোসেনকে প্রধান আসামি করে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে সুমন মাহমুদ (৩৮) বাদী হয়ে আক্তারকে প্রধান আসামি এবং আরও ৫জনকে অজ্ঞাত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ী আকতার হোসেন। এবিষয়ে আক্তার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি কখনো ঝামেলা করি না। বেপজার সকল নিয়মনীতি মেনেই দীর্ঘদিন ধরে ইপিজেডে ব্যবসা করে আসছি। আদমজী ইপিজেডে রানিং ব্যবসা আমাদের। গত মঙ্গলবার নাসিকের তিন কাউন্সিলর বাদল, নূর উদ্দিন এবং খোকন এরা মহড়া দিলো এবং পরের দিন বুধবার আমার ম্যানেজারের ওপর সুমন মাহমুদ, লিমন সহ ১৫/২০ সন্ত্রাসী হামলা চালায়। গত ১৩ বছর ধরে আমি চেক পয়েন্ট সিস্টেম নামক প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা করে আসছি। এখন উল্টো তারা আমার ম্যানেজারকে মারধর করে আমার নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার আসামি আক্তার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি কখনো ঝামেলা করি না। বেপজার সকল নিয়মনীতি মেনেই দীর্ঘদিন ধরে ইপিজেডে ব্যবসা করে আসছি। আদমজী ইপিজেডে রানিং ব্যবসা আমাদের। গত মঙ্গলবার নাসিকের তিন কাউন্সিলর বাদল, নূর উদ্দিন এবং খোকন এরা মহড়া দিলো এবং পরের দিন বুধবার আমার ম্যানেজারের ওপর সুমন মাহমুদ, লিমন, সজীব সহ হামলা চালায়। গত ১৩ বছর ধরে আমি চেক পয়েন্ট নামক প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা করে আসছি। এখন উল্টো তারা আমার ম্যানেজারকে মারধর করে আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা করেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, ইপিজেডে সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত দুইটি মামলা দুই পক্ষ থেকে দায়ের করা করা হয়েছে। একটি মামলায় একজন এবং অপর আরেকটি মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।