নারায়ণগঞ্জরাজনীতি
বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের বিক্ষোভ

বিরোধীদলগুলোর উপর দমন-পীড়ন-হুমকি; দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং রিজার্ভের অর্থপাচারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ
আজ ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবার বিকাল ৪ টায়, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লবের সভাপতিত্বে ও মহানগরের সদস্য মোঃ সোহাগের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী নাজমা বেগম, নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার যুগ্ম-আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান, মহানগর কমিটির অর্থ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাবু, প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান উজ্জল, সদস্য শুক্কুর মাহমুদ জুয়েল, তাকবীর হোসেন, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির জেলা সম্পাদক আব্দুল আল মামুন, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক ইলিয়াস জামান, ছাত্র ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নাজমা বেগম তার বক্তব্যে বলেন, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে বাঁধা, হামলা-মামলা, গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তরিকুল সুজন বলেন, জনগণের সম্মতি ছাড়া ক্ষমতাসীন এই সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট এবং অব্যবস্থাপনার জন্য দেশের অর্থনীতি আজ চরম সংকটে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের নিম্নবিত্ত এমনকি মধ্যবিত্ত শ্রেণীও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। লুটেরা সরকার আর তার দোসরদের অর্থ এবং ক্ষমতা লিপ্সার কারণে দেশ আজ এক গভীর সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকির মুখে। লোডশেডিংয়ে সারা দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। জ্বালানি সংকটের কারণে কল-কারখানা এমনকি সার কারখানা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ সংকটের দায় এবং পরিস্থিতি মোকাবেলার ব্যর্থতা সম্পূর্ণভাবে সরকারের। কাজেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার। সরকার পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা-গ্রেফতারে চালিয়ে আবারো প্রমাণ করলো বল প্রয়োগ করে জবরদস্তি করে ফ্যাসিবাদী কায়দায় তারা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। নেতৃবৃন্দ বলেন, এইভাবে দমন করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যাবে না। জনগণের অভ্যুত্থানে এই সরকারের পতন ঘটবে।
নেতৃবৃন্দ সরকার ও শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যে এবং সকল অত্যাচার দমন, পীড়ন, নির্যাতন এবং হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।