রংপুর বিভাগরাজনীতিসারাদেশ
বিতর্কিত গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিপন বিজয়ী

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান রিপন ৭৮ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
মাহমুদ হাসানের নিকটবর্তী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯৫০ ভোট।
এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম কুলা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৯৬ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ আপেল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬৩০ ভোট এবং সৈয়দ মাহবুবার রহমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫০ ভোট।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয়ে ১৪৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে একটানা সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এবারও কেন্দ্রগুলো নিবিড় পর্যবেক্ষণে ১ হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।
সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩। দুই উপজেলা মিলে ভোটকেন্দ্র ১৪৫ এবং বুথের সংখ্যা ৯৫২। ভোট সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করতে ২১ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি র্যাবের ৮টি টিম, ৫ প্লাটুন বিজিবি, বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট, স্ট্রাইকিং ফোর্স, আনসারসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। পরে নির্বাচন কমিশনার আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন। পরে ১২ অক্টোবর বুধবার শূন্য আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভোটের অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার ভোটগ্রহণ শেষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এবারের ভোটের শুরুতেও পরিবেশ সুন্দর ছিল, সমাপ্তিটাও চমৎকার হয়েছে। সব মিলিয়ে শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খলভাবে সুন্দর ভোট হয়েছে। সেদিক থেকে নির্বাচনটা সফল হয়েছে।
তিনি বলেন, ইভিএমে ভোট হওয়ার পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা থাকায় স্বচ্ছ নির্বাচনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকবে কি না সে সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি কমিশন।