খুলনা বিভাগজাতীয়সাহিত্য
যশোর শিক্ষা বোর্ড: কিছু স্মৃতি, কিছু অভিজ্ঞতা -অধ্যাপক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ

স্পেশাল ডেস্ক নিউজঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে ২৪তম বিদ্যালয় পরিদর্শক হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর-এ আমি যোগদান করি ০৩.০৬.২০১৮ খ্রি. তারিখে। যশোর শিক্ষা বোর্ডে যোগদান মোটেই আমার প্রত্যাশিত ছিল না। যশোর বোর্ডে যোগদানের আগে আমি সরকারি ব্রজলাল কলেজের অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলাম। ২০১৬ সালের শেষের দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি দেখে আমি কোনো কিছু না ভেবেই আবেদন করি। আবেদন অনুযায়ী ২০১৭ সালে মৌখিক পরীক্ষা দিই। মৌখিক পরীক্ষায় বোর্ডের সভাপতি ছিলেন তখনকার মাননীয় শিক্ষাসচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন স্যার। বর্তমানে তিনি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান। বোর্ডের অন্যান্য সদস্য হিসেবে ছিলেন ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (কলেজ), যুগ্মসচিব (কলেজ) ও উপসচিব (কলেজ)। আমার মৌখিক পরীক্ষা খুব ভালো হয়। বোর্ডে আমাকে প্রশ্ন করা হয়, ‘কেন আমি ডেপুটেশনে (প্রেষণে) আসতে ইচ্ছুক’? ইত্যাদি আরও অনেক প্রশ্ন করা হয়। আমার মনে হয় বোর্ডের সবাই আমার প্রশ্নের উত্তরে সন্তুষ্ট। আমি দিন গুণতে থাকি কবে ফল প্রকাশিত হবে। যাহোক, ২২.০৫.২০১৮ খ্রি. তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি বদলীর আদেশ প্রকাশিত হয়। তখনও আমি কিছুই জানি না। আমি দেখছি সবাই ফোনে আমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। তারপরে আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখি যে আমার যশোর বোর্ডে বিদ্যালয় পরিদর্শক হিসেবে বদলীর আদেশ হয়েছে।
ঐদিন রাত ৮-টায় অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন এনডিসি স্যারের সাথে কথা বলি।এমনিতে আমি শিক্ষকতা ছাড়া অন্য কোনো কাজ করিনি। কিছুটা ভয়ে ভয়ে ছিলাম। স্যারের সাথে কথা বলে সে ভয় কেটে গেল । কারণ ঐদিন জালাল স্যার আধা ঘণ্টা ধরে ফোনে আমাকে নতুন অফিসে কিভাবে কাজ করতে হবে, কী কী করতে হবে এরকম বিষয়ে দিক-নির্দেশনামূলক গাইডলাইন দিলেন। স্যারের সাথে কথা বলে আমি রীতিমত আত্মবিশ্বাসী হয়ে গেলাম। আমি যথারীতি ০৩.০৬.২০১৮ খ্রি. তারিখে যশোর বোর্ডে যোগদান করলাম। যাহোক, এতক্ষণ বললাম কীভাবে যশোর বোর্ডে আসলাম তার কিছু স্মৃতি, এখন আসি যশোর বোর্ডে যা কিছু আমি শিখেছি তার কিছু অভিজ্ঞতার বর্ণনা নিয়ে নিবেদন করছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন প্রথম শুরু হয় যশোর জেলায়। তাই যশোরকে বলা হয় বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল শহর। এই ডিজিটালের টেউ বা অনুপ্রেরণা যশোর বোর্ডের গায়েও লাগে। তাই যশোর শিক্ষা বোর্ডকে বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল শিক্ষা বোর্ডবলা হয়। যোগদানের পরপরই এই বোর্ডের ডিজিটাল কার্যক্রম দেখে আমি খুবই অনুপ্রাণিত উজ্জীবিত হই। কারণ আমি নিজে কিছুটা ডিজিটাল কার্যক্রমকে ভালোবাসি। এর আগে আমি ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষে আইবিএস-এ এমফিল কোর্সে ভর্তি হই আইবিএস-এ তখন সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সংযোগ ছিল।
গবেষণা মানেই হচ্ছে সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। যাহোক, আবারও একটু আমার সুযোগ হলো অনলাইনে ও ডিজিটালি কাজ করার। বিদ্যালয় বিভাগে দুইটি শাখা আছে। একটি অনুমোদন শাখা অন্যটি নিবন্ধন শাখা। অনুমোদন শাখার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো বিদ্যালয় পরিদর্শন। যশোর বোর্ডের আওতাধীন দশটি জেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় আমি পরিদর্শন করি। পরিদর্শনকালে প্রতিটি বিদ্যালয়ে আমি দেখতে পাই-ছেলে শিক্ষার্থীর চেয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। নারী শিক্ষার এই নীরব বিপ্লব দেখে আমি খুব অভিভূত ও উজ্জীবিত হই। আগামীর বাংলাদেশেকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছি, তা এই মেয়ে শিক্ষার্থীরাই সেই বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে। আরো যা দেখেছি তাহলো এই মেয়ে শিক্ষার্থীরা খুবই সপ্রতিভ, স্মার্ট, সাহসী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত।
যশোর বোর্ডের বিদ্যালয় অনুমোদন শাখার সকল কাজ অনলাইনে হয়। শুধু চিঠিটা আমরা ম্যানুয়ালি বা হাতে টাইপ করতাম। হাতে টাইপ করা চিঠি দিনে সর্বোচ্চ করতে পারতাম পাঁচ থেকে সাতটি চিঠি। যার ফলে আমরা প্রধানশিক্ষকদের/সেবাগ্রহিতাদের ভালো সেবা দিতে পারছিলাম না।
যোগদানের পরপরই ভাবছিলাম চিঠিটা কীভাবে ডিজিটালি করা যায়। আমরা সবাই ভাবছিলাম এর সমাধান কীভাবে করা যায়। আমরা তখনকার বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মাদ আব্দুল আলীম স্যারের কথা বললাম। চেয়ারম্যান মহোদয় আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে তাৎক্ষণিক সকল বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে একটি সভা ডাকলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হলো – দ্রুত চিঠি ডিজিটাল করার সফটওয়্যার তৈরির সিদ্ধান্ত হলো এবং একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হলো। আমরা তখন বোর্ডের প্রোগ্রামারদের সাথে কাজ শুরু করে দিলাম। আলীম স্যার একাজটি বাস্তবায়নের সময় পেলেন না। তিনি অন্যত্র বদলী হয়ে গেলেন। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করলেন প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন ২৯.০১.২০২০ খ্রি. তারিখে। স্যারের যোগদানের পরপরই আমরা এ বিষয়টা নিয়ে স্যারের সাথে আলাপ-আলোচনা করলাম। আমাদের জাতীয় জীবনে ২০২০ সাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাল। কারণ,আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এ বছর। সরকার ইতোমধ্যে এ বছরকে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাই ঠিক হলো মুজিববর্ষের ০১ মার্চ হতে অটো-জেনারেটেড চিঠি ইস্যু করা হবে। অটোমেশনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান মহোদয় যখনই কোনো ফাইল অনুমোদন করবেন, তখনই বিদ্যালয় পরিদর্শকের স্বাক্ষর সম্বলিত অটো চিঠি প্রধানশিক্ষক/সেবাগ্রহিতার আইডিতে পৌঁছে যাবে এবং সাথে সাথে এ সংক্রান্ত এসএমএস নোটিফিকেশন তার মোবাইলে দেয়া হবে। তিনি ঘরে/নিজ বিদ্যালয়ে বসে কাঙ্খিত চিঠি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এ সেবাটি আমরা শুরু করি ০১ মার্চ, ২০২০ সালে, ঠিক তার পরপরই বৈশ্বিক অতিমারি করোনাভাইরাসসংক্রমণ শুরু হয়ে যায়, তখন এ সেবাটি ম্যাজিক এর মতো কাজে লাগে।
এই করোনাকালীন দুই বছর সময়ে এই সেবাটি উদ্ভাবনের ফলে যশোর বোর্ডে এক নীরব বিপ্লব সৃষ্টি হয়। এই উদ্ভাবনটি যশোর বোর্ডের বিদ্যালয় বিভাগে মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার। অটো চিঠি চালু হওয়ার পর প্রতিদিন আমরা আশি থেকে একশত চিঠি ডিজিটালি দিতে পারছি, যেখানে ম্যানুয়ালি আগে দিতেপারতাম মাত্র প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাতটি চিঠি। ফলে কোনো সময়ক্ষেপণ হচ্ছে না, খরচ, দুর্ভোগ, ভোগান্তিও হয়রানি কমে এসেছে, কাউকে বোর্ডে সরাসরি আসা লাগছে না। করোনাকালীন সময়ে ঘরে বসেই তারা সেবাটি পাচ্ছে।সেবাটি পেয়ে শিক্ষকশিক্ষার্থী-অভিভাবক যেমন খুশি, দ্রুত সেবাটি দিতে পেরে আমরাও খুশি। বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন ছিলো – দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে দুঃখী মানুষের মুখে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফোটালেন। ফলে, বর্তমানে যশোর বোর্ডে শিক্ষার্থী, অভিাভাবক- প্রধানশিক্ষকসহ কাউকে সরাসরি আসা লাগছে না বিধায় যাতায়াত খরচসহ অন্যান্য খরচ শূন্যে নেমে এসেছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় বিভাগের একটি রুটিনমাফিক কাজ হচ্ছে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলোকে প্রতি তিন বছর পর পর স্বীকৃতি নবায়ন করা। এ কাজের জন্য প্রত্যেক প্রধান শিক্ষককে বোর্ডের একটি নির্ধারিত ফিস প্রদান করে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। এ কাজটি করার এখতিয়ার যশোর বোর্ডের। আমি এখানে যোগদানের পর দেখতে পেলাম যে, স্বীকৃতি নবায়ন করার ক্ষেত্রে শর্ত হিসেবে ডিডি (মাধ্যমিক, খুলনা অঞ্চল) এর সুপারিশ লাগবে। স্বীকৃতি নবায়ন করার ক্ষেত্রে ডিডি (মাধ্যমিক, খুলনা অঞ্চল) এর সুপারিশ লাগার শর্তটি দীর্ঘদিন ধরে বোর্ডে প্রচলিত রয়েছে। আমি এ বিষয়টি জানার জন্য বোর্ডে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে কথা বললাম। তারা কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারলেন না। আমি তখন অন্যান্য বোর্ডের কর্মকর্তাকর্মচারিদের সাথে কথা বললাম। তারা বললেন, তারা এ কাজে ডিডি-র কোনো সুপারিশ নেন না। এ ইতিবাচক তথ্য পেয়ে আমি খুব আশাবাদী হলাম। আমি তখন চেয়ারম্যান, সচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কলেজ পরিদর্শক মহোদয়ের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করলাম। এ বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতারা আমার সাথে কথা বললেন। তারা জানালেন, স্বীকৃতি নবায়নের ক্ষেত্রে ডিডির সুপারিশ নিতে তাদের অনেক ভোগান্তি, হয়রানি, সময় ক্ষেপণ ও অর্থের অপচয় হয়। তাদের দাবী ছিলো ওয়ান স্টপ সার্ভিস তথা একটি উৎস থেকে সেবা পেতে চাচ্ছিলেন। তারা এর সুরাহার জন্য চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করলেন। আমি তাৎক্ষণিক তাদের দাবী ফাইল নোটে মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট উপস্থাপন করলাম। মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় বোর্ডের সর্বোচ্চ
ক্ষমতাসম্পন্ন বডি ‘বোর্ড কমিটি’তে উপস্থাপন করতে বললেন। যথাসময়ে বোর্ড কমিটিতে উপস্থাপিত হলো এবং সিদ্ধান্ত হলো যে, এ কাজটি করার এখতিয়ার একমাত্র বোর্ডের, এখানে ডিডি-র কোনো সুপারিশ লাগবে না। যাহোক, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকরা কষ্ট পাচ্ছিলেন, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর থেকে কিম্বা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খুলনায় আসা লাগতো ডিডি মহোদয়ের সুপারিশের জন্য। এখন, শিক্ষকদের কোথাও যাওয়া লাগে না, ঘরে/নিজ বিদ্যালয়ে বসে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন এবং ঘরে বসেই ২/৩ দিনের মধ্যেই অটো চিঠি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ফলে, বর্তমানে যশোর বোর্ডে শিক্ষার্থী-অভিাভাবক-প্রধানশিক্ষকসহ কাউকে সরাসরি আসা লাগছে না বিধায় যাতায়াত খরচসহ অন্যান্য খরচ শূন্যে নেমে এসেছে।
বিদ্যালয় বিভাগের আরেকটি গুরুত্ত¡পূর্ণ শাখা হলো নিবন্ধন শাখা। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে একজন শিক্ষার্থী বোর্ড থেকে অনলাইন শিক্ষার্থী আইডি নম্বর পেয়ে থাকে শিক্ষার্থীর এই অনলাইন আইডি ব্যবহার করে প্রধান শিক্ষক সকল উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণিতে পর্যায়ক্রমে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করেন। প্রত্যেক প্রধানশিক্ষক আমাদের বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ই-অফিস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর তথ্য অনলাইনে আপলোড করে জেএসসি ও এসএসসি-র নিবন্ধন কার্যক্রম ঘরে বসে/ বিদ্যালয়ে বসে সম্পন্ন করেন। এ কাজে কাউকে সরাসরি বোর্ডে আসতে হয় না। নিবন্ধন সংক্রান্ত সকল সংশোধনও অনলাইনে করা হয়। আমার এখানে যোগদানের পূর্বে প্রত্যেক প্রধানশিক্ষককে জেএসসি ও এসএসসি-র নিবন্ধন কার্ড নেয়ার জন্য বোর্ডে সরাসরি আসা লাগতো। অর্থাৎ, তখন বোর্ডে নিবন্ধন কার্ড বিতরণের ম্যানুয়াল বিতরণ ব্যবস্থা ছিলো। এতে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের সময়ক্ষেপণ হতো, যাতায়াতের খরচ লাগতো, হয়রানি, কষ্ট ও ভোগান্তি হতো। এগুলো দূর করার লক্ষ্যে আমরা অনলাইনে নিবন্ধন বিতরণের ব্যবস্থা করি। জেএসসি ও এসএসসি-র নিবন্ধন আমাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে দিই এবং তারা সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পেরেছে। ফলে, বর্তমানে যশোর বোর্ডে শিক্ষার্থী-অভিাভাবক-প্রধানশিক্ষকসহ কাউকে সরাসরি আসা লাগছে না বিধায় যাতায়াত খরচসহ অন্যান্য খরচ শূন্যে নেমে এসেছে।
পরিশেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো এবং সেই হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুরু থেকেই আজ অবধি অত্যন্ত সফলতার সাথে যশোর শিক্ষা বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে আরো নতুন নতুন ভাবনা-চিন্তা, সৃষ্টিশীলতা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী অগ্রযাত্রায় যশোর শিক্ষা বোর্ড এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা রাখি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলতে চাই-
‘তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি
শত রূপে শত বার
জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার’।
লেখকঃ ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ
সহযোগী অধ্যাপক,
(অর্থনীতি বিভাগ),
সরকারি ব্রজলাল কলেজ, খুলনা।