জাতীয়

ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার-এর উদ্যোগে ‘এসডিজি অর্জনে যুবদের ভুমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর অনুপ্রেরনায় স্বেচ্ছাব্রতী যুব সংগঠন ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার-এর উদ্যোগে ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় আজ ২৯ আগস্ট ২০২২, সোমবার সকাল ১১টায়, রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘এসডিজি অর্জনে যুবদের ভুমিকা’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মূল আলোচক হিসেবে ছিলেন সিপিডির ডিসটিংগুইসড ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপপরিচালক জনাব মো: আলমগীর হোসেন, ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনাব আব্দুর রহমান ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনাব শশাঙ্ক বরণ রায় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ইয়ুথ লিডার বিজয়া ইসলাম, নুরুজ্জামান ফাহাদ, সাদিকাতুন্নেছা, রাকিবুল ইসলাম ইফতি ও সাদিয়া আহসান এসডিজি অর্জনে তাদের কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আলোচনা সভার উদ্দেশ্য সম্পর্কে শশাঙ্ক বরণ রায় বলেন, সারা দেশের ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার-এর ১৫০০ ইউনিট সক্রিয় আছে, হাজার হাজার তরুণ এই ইউনিটগুলোর সঙ্গে যুক্ত। এসব তরুণরা এসডিজি-১৬ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তাৎপর্যপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের তরুণদের উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা শোনার জন্যই আজকের অনুষ্ঠান।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ছাত্র-যুব আন্দোলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দুইটা ধারা দেখতে পাওয়া যায়। একটি ধারা সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে, আরেকটি ধারা কাঠামোগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে। বিচ্ছিন্ন আন্দোলন দিয়ে বড় পরিবর্তন করা যায় না। উন্নয়ন টেকসই করতে হলে রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমান তরুণ সমাজকে বেকারত্ব, মাদকাসক্তি, উগ্রবাদী চিন্তা মোকাবেলা করে রাষ্ট্র ও দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার পথে এগিয়ে যেতে হবে।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যে সমাজে যত বেশি তরুণ জনগোষ্ঠী থাকে সে সমাজে তত বেশি সম্ভাবনা থাকে। তরুণ জনগোষ্ঠী বেশি থাকলে উচ্ছাস, উদ্দীপনা, সৃষ্টিশীলতা ও ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা বেশি থাকে। ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার-এর তরুণরা স্থানীয় বিভন্ন সমস্যার স্থানীয় সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলির বিকাশ ঘটছে, যাতে তারা পরবর্তী ধাপ অর্থাৎ দেশের মানুষের মধ্যে নাগরিকত্ববোধ তৈরিতে নেতৃত্ব দিতে পারে।

মো: আলমগীর হোসেন বলেন, বর্তমান তরুণদের একটা বড় দুর্বলতা হলো তারা ডাটা বিমুখ। তথ্য, উপাত্ত, সংখ্যা তাদের কাছে রসহীন মনে হয়। কিন্তু বর্তমান যুগে তথ্যই শক্তি। তরুণদের এ ক্ষেত্রে মনোযোগ দিতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close