নারায়ণগঞ্জ

স্বল্প খরচে চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে পাইপলাইনে আসবে জ্বালানি তেল

স্বল্প খরচে অতি দ্রুত চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে আসবে জ্বালানি তেল। এ জন্য সরকারী উদ্যোগে সড়কের পাশে পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

ঢাকা ও তৎসংলগ্ন জ্বালানি তেলের বর্তমান চাহিদা প্রায় ১৫ লাখ টন, যা নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোর মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। প্রকল্পের আওতায়, চট্টগ্রাম হতে গোদনাইল পর্যন্ত ২৩৭ দশমিক ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৬ ইঞ্চি ব্যাস বিশিষ্ট পাইপলাইন, গোদনাইল হতে ফতুল্লা পর্যন্ত ৮ দশমিক ২৯ কিলোমিটার ১০ ইঞ্চি ব্যাস বিশিষ্ট।

চলতি বছরের ২২ মার্চ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাইপলাইন স্থাপনের জন্য জমি চেয়ে আবেদন করা হয়। একই বছর ১৯ এপ্রিল প্রকল্পটির জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার জালকুড়ি ও কুতুবপুর মৌজায় বিভিন্ন দাগে ৪ দশমিক ৪৭০০ একর হুকুম দখলের আদেশ দেন ভূমি মন্ত্রণালয়। একই প্রকল্পে বন্দর উপজেলার মিরকুন্ড চর, সাবদি, মুকফলদি, চিনারদি, মীরকুন্ডী, কুলচরিত্র, বড় বারৈখালি, ভাজনদি, দক্ষিণ মৌজার ২৮ দশমিক ৭৫০০ একর হুকুম দখলের আদেশ  দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোর্ডে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের পূর্ব পাশে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ফতুল্লা স্টেডিয়াম ও শিবুমার্কেট এলাকায় ইতোমধ্যে পাইপ বিছিয়ে ফেলা হয়েছে। কোথাও কোথাও করা হচ্ছে এক পাইপের সাথে অন্যপাইপ সংযুক্ত। কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, পাইপলাইন দিয়ে জ্বালানী তেল আসবে। চলতি বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ট্যাঙ্কলরিতে জেট ফুয়েল সরবরাহ করার কারণে অনেক সময় জেট ফুয়েলের মান খারাপ হয়ে যায়। এ ছাড়া তেল চুরির ঘটনাও ঘটে। অন্যদিকে তেলের মান খারাপ হওয়ার কারণে বিদেশি বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেট ফুয়েল না নিয়ে প্রতিবেশী দেশ থেকে সংগ্রহ করে। এতে বাংলাদেশ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। প্রকল্পটি চালু হলে বছরে সরকারের ২০০ থেকে আড়াইশ’ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এ ছাড়া নিরাপদে অতি দ্রুত চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে জ্বালানি তেল সরবরাহ হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close