নারায়ণগঞ্জসিদ্ধিরগঞ্জ

সিদ্ধিরগঞ্জে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ সিদ্ধিরগঞ্জ ওমান পাঠানোর নামে ভূয়া ভিসা ও টিকেট  প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন নাসিক ৭নং ওয়ার্ড  গোদনাইল নয়াপাড়া এলাকার সোবহান মিয়া’র পুত্র মনির হোসেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায় সোবাহান মিয়ার ছেলে মনির হোসেন পেশায় একজন সাধারণ শ্রমিক। জীর্ণশীর্ণ ভাবেই কাটছিল তাদের জীবন বর্তমান নিত্য পন্যর দাম যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বারছে এতে সল্প আয়ের টাকা দিয়ে সংসার চালানো দুশকর হয়ে পরেছে।
তাই ধার দেনা করে ওমান গিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন মনির হোসেন। কে জানে প্রতারক তার নিজের ঘরেই, শত কষ্টে ম্যানেজ করা টাকা, শশুর খলিলুর রহমানের কাছে জমা দিয়েছেন এবং তার কথা অনুযায়ী বিদেশ যাওয়ার পদক্ষেপ নেন।
ভুক্তভোগী মনির হোসেন বলেন আমার স্ত্রী বড় ভাই ১নং অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম দালালী করে সেই সুবাদে তার কাছেই বিদেশ যাওয়ার জন্য শরণাপন্ন হই তার কথা মতো ২ ধাপে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা তার কাছে বুঝিয়ে দেই, তারপর ভিসা টিকেট অনলাইনে পাঠালে যাচাই বাছাই করে দেখি তা সম্পূর্ণ  জালও ভূয়া  প্রতারণা করে আমার কাছে থেকে টাকা গুলো কৌশলে  হাতিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগী মনির হোসেন আরো বলেন  অভিযুক্ত  খলিলুর রহমান তার ছেলে জহিরুল ইসলাম  দীর্ঘদিন যাবত গোদনাইল নয়াপাড়া এলাকায় দালালী করে আর্সছে এবং আমার মতো বহু পরিবার নিঃস্ব করে দিয়েছে আমি আমার জমানো টাকা দিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে’ গেছি । সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেও কোন সমাধান পাননি ভুক্তভোগী মনির হোসেন।
এস আই আলমগীর বলেন আমি দুই পক্ষের সঙ্গে বসে সুরাহা করবো। অথচ অভিযোগের ১০ দিন পার হলেও কোন প্রকার সমাধানের বার্তা আসেনি থানা পুলিশ থেকে।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায় অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম বহুরুপী প্রতারক একাধিক বিবাহ ও বিদেশে লোক পাঠানোর নামে খদ্দরের কাছে বিক্রি করে দেওয়াই তার প্রদান পেশা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম বলেন আমি নিজেও এই খদ্দরের খপ্পরে পরেছি এবং থানায় জিডি করে রেখেছি, সমাধানে যাবো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close